ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সিলেটকে ঘরের মাঠে উড়িয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
সিলেটকে ঘরের মাঠে উড়িয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয় ছবি: শোয়েব মিথুন

সিলেট থেকে : গ্যালারিতে গোলাপি রঙের হিড়িক। এমন দৃশ্য বিপিএলে শেষ কবে, কোথায় দেখা গিয়েছিল মনে করা ভীষণ কঠিন।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য চিৎকার উঠলো গ্যালারি থেকে, ভেসে এলো সমর্থন। কিন্তু ঘরের মাঠের দর্শকদের হতাশই করলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।  

শুরুতে ব্যাট হাতে টপ-অর্ডার গুড়িয়ে গেল। এরপর লড়লেন তানজিম হাসান সাকিব আর মাশরাফি। তাদের দুজনের কল্যাণে সংগ্রহ পৌঁছালো মোটামুটি বলার মতো জায়গায়। বোলারদের জন্য বাকি ছিল না তেমন কিছু। সুযোগ দেয়নি রংপুর রাইডার্সও। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে তারা।  

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান করে সিলেট। এরপর জবাব দিতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে রংপুর।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে এসে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। ৭ বলে ২ রান করে আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে সাজঘরে ফেরত যান উদ্বোধনী ব্যাটার টম মুরস। তার বিদায়ের পর যেন উইকেট পড়ার হিড়িক পড়ে রীতিমতো।  

১৮ রানের ভেতরই সাত ব্যাটারকে হারায় সিলেট। মেহেদী হাসান, ওমরজাই, হাসান মাহমুদদের তোপের মুখে পড়ে তারা। তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম সাজঘরে ফেরেন ডাক মেরে। এর মধ্যে জাকিরকে মেহেদী ও বাকি দুজনকে আউট করেন ওমরজাই।  

সাত ব্যাটারকে হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যাওয়া সিলেটকে এরপর একটু একটু করে টেনে তুলেন মাশরাফি ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের ৪২ বলের জুটিতে আসে ৪৮ রান। এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। তার বলে মাশরাফি ক্যাচ দেন রবিউল হকের হাতে। এর আগে ২১ বল খেলে ২ ছক্কায় করেন ২১ রান।  

দুজনের জুটি ভাঙার পরও কিছুক্ষণ চালিয়ে নেন সাকিব। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে তার ৪১ রানের ইনিংসটি থামে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হলে। ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান হাসান। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৭ রান দিয়ে সমান উইকেট ওমরজাইয়েরও। এছাড়া মেহেদী দুই ও হারিস রউফ নেন একটি করে উইকেট।  

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি রংপুরকে। নাঈম শেখ ও রনি তালুকদারের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৭ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে নাঈম আউট হলে ভেঙে যায় এই জুটি। ২ চারে ২১ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে ১২ বলে ৮ রান করে আউট হন মেহেদী হাসান।  

এর মধ্যে শোয়েব মালিকও প্রথম বলেই টম মুরসের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাশরাফির ওভারে সাজঘরে ফেরত যান। ১৭ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। দলের হয়ে এক প্রান্ত আগলে থাকেন রনি তালুকদার। এই ব্যাটার শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে ১৩ বলে ১৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।  

বাংলাদেশ সময় : ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।