ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন নিয়ে দিনশেষ বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন নিয়ে দিনশেষ বাংলাদেশের ছবি: শোয়েব মিথুন

দিনের শুরুটা হয়েছিল মুমিনুল হকের হতাশার আউটে। পরে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম গড়েন বড় জুটি।

সাকিব আউট হয়ে যান সেঞ্চুরির আগেই, তবে মুশফিক পান তিন অঙ্কের দেখা। তাতে ভর করে বড় লিড পায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে শেষ বিকেলে খেলতে নেমে বেশ চাপে পড়েছে আইরিশরা, তারা আছে ইনিংস হারের শঙ্কায়।

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের চেয়ে ১২৮ রানে পিছিয়ে আছে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২১৪ রান করা আইরিশরা দ্বিতীয় দিনশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে করেছে ২৭ রান।  

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩৬৯ রানে। প্রথম দিনের শেষ বিকেলে খেলতে নেমে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডায়ারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর দিনের একদম শেষ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তামিম ইকবাল। ৩৬ বলে ২১ রান করেন তিনি।  

২ উইকেটে ৩৪ রান হারানো বাংলাদেশ দল আজ দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে। অপরাজিত মুমিনুল হকের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মুমিনুল বেশি দূর টানতে পারেননি দলকে। অ্যাডায়ারের বলে লেগ স্টাম্প ছেড়ে দেন তিনি, হন বোল্ড। ৩৪ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যেতে হয় তাকে।  

ক্রিজে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব। সেই আক্রমণের ঝাঁজ তিনি বয়ে নিয়েছেন পরেও। ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান, মারেন নয় বাউন্ডারি। এই ব্যাটার ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। ১৭০ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ।  

বিরতি থেকে ফিরে আক্ষেপে পুড়তে হয় সাকিবকে। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে ম্যাকব্রিনির বলে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৪ চারে ৯৪ বলে ৮৭ রান করেন সাকিব।

সঙ্গী হারালেও ছয়ে নামা লিটন দাসকে নিয়ে রান তোলার গতি ঠিক রাখেন মুশফিক। মুশফিক পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিও। অ্যাডায়ারের বল কিপার ও স্লিপের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। দুই ম্যাচ পরই সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া মুশফিক শুকরিয়া জানিয়ে সেজদা দিয়ে উদযাপন করেন।  

এক পাশে মুশফিক মাইলফলকে পৌঁছালে লিটনও ছুটছিলেন হাফ সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে ৪৩ রানে ক্যাচ আউট হন তিনি, আগের বলেই টাকারের ভুলে বেঁচে গিয়েছিলেন নিশ্চিত রান আউট থেকে। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে চা বিরতিতে যান মুশফিক।  

বিরতির পর নেমে আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ১৬৬ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১২৬ রানে ক্যাচ আউট হন মুশফিক। মিরাজ একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে গেলেও নিচের সারির ব্যাটাররা স্থায়ী হতে পারেননি। শেষ ব্যাটার হিসেবে ৮০ বলে ৫৫ রান করে আউট হন মিরাজ।  

ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৬৬তম ওভারে এসেছিলেন সাকিব, দ্বিতীয়টিতে এসেছেন প্রথম ওভারেই। চতুর্থ বলে উদ্বোধনী ব্যাটার জেমস ম্যাককালামকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান তিনি। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মুরে কামিন্সও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি।  

১২ বলে ১ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৭ রানে দুই উইকেট হারানো পর আইরিশদের চাপ আরও বাড়ে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি ফিরলে। ১২ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তাইজুলের ইসলামের বলে হন বোল্ড। পরে ৪ বলে ১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন কার্টিস ক্যাম্পার। ১৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।

দিনের বাকি সময়টায় আর আয়ারল্যান্ডের বিপদ হতে দেননি হ্যারি টেক্টর ও পিটার মুর। ৪০ বলে ৮ রান করে টেক্টর ও ৩৩ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুর।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ২১৪/১০ (টেক্টর ৫০, টাকার ৩৭; তাইজুল ৫৮/৫)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ৩৬৯/১০ (মুশফিক ১২৬, সাকিব ৮৭, মিরাজ ৫৫; ম্যাকব্রিনি ১১৮/৬)

আয়ারল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৭/৪ (মুর ১০*; সাকিব ১১/২, তাইজুল ৭/২)

দ্বিতীয় দিন শেষে আয়ারল্যান্ড ১২৮ রানে পিছিয়ে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।