ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

হাথুরুর ‘মন্ত্রী’ গামিনি, অনুশীলনে ছিল খুনসুটিও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
হাথুরুর ‘মন্ত্রী’ গামিনি, অনুশীলনে ছিল খুনসুটিও

সকালের আকাশে তখনও মেঘের ভিড়। ঘড়ির কাঁটায় নয়টা বাজলেও দেখে বোঝার উপায় নেই।

বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়েই সোজা হাঁটা ধরলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সহকর্মীরা যখন অনুশীলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন হাথুরুর ব্যস্ততা গামিনি ডি সিলভাকে নিয়ে।

২০১৯ সালে স্পিন উইকেট বানিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই ভয় হয়তো এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাথুরুকে। গামিনির সঙ্গে তার আলাপ এমনিতেও হয় অনেক, গত কয়েকদিনে সেটি যেন বেড়েছে আরও। রোববার দুজন মিলে উইকেট নিয়ে আলাপ করলেন প্রায় মিনিট বিশেক।

এর মধ্যে তারা মাঝেমধ্যেই হাতের বল ড্রপ করে দেখে নিলেন বাউন্স। উইকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়তো তবুও কমেনি। দুপুর বারোটায় অনুশীলন শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের, হাথুরুকে মাঠে দেখা গেছে দুপুর তিনটায়ও। এর বাইরে লঙ্কান কোচের সময় কেটেছে লিটন দাসের সঙ্গে।

সাকিব আল হাসান না থাকায় লিটন অধিনায়ক হয়েছেন। তার সঙ্গে অবশ্য আলাপটা অনুশীলনের সময় কৌশল নিয়ে হয়নি। তারা দুজন কাজ করেছেন ব্যাটিং নিয়ে। অনুশীলনের সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি ছিল তামিম ইকবালের দিকে।

কয়েকদিন ধরেই তামিমের পিঠের পুরোনো ব্যথা ফেরার খবর শোনা যাচ্ছিল, রোববার সেটি স্পষ্ট হলো ক্যামেরার সামনেই। সকালে দলের সবাই যখন ফুটবল খেলতে ব্যস্ত, তামিম তখন জুলিয়ান ক্যালেফাতোর সঙ্গে পিঠের ব্যয়াম করেছেন।

পরে সম্ভবত টিম ম্যানেজম্যান্টের চাওয়াতে ফিল্ডিং করেছেন তামিম। এই বাঁহাতি ওপেনারের মূল কাজ ব্যাটিং, ইনডোরে সেটি করতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। তাকে যতক্ষণ দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময়ই তার হাত ছিল পিঠে। ব্যাটিংয়ে ব্যাকফুটে শট খেলতে গিয়ে হঠাৎ ব্যথাটা বেড়ে যায় তার।

পিঠে হাত দিয়ে ও চোখেমুখে ব্যথার যন্ত্রণা নিয়ে তখনই অনুশীলন ছাড়েন তামিম। তাকে নিয়ে আশার খবর এখন অবধি তেমন একটা নেই। মেডিকেল বিভাগ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ম্যাচের আগের দিন। তবে তাকে দেখে ম্যাচ খেলার মতো মনে হয়নি খুব একটা।

অনুশীলনে সিরিয়াসনেসের ভেতর হয়েছে খুনসুটিও। জাকির হাসানকে বেশ লম্বা সময় ধরে বল করেন পেসার এবাদত হোসেন। তাদের মধ্যে একটি অঘোষিত লড়াইও চলে তখন- আম্পায়ারের জায়গাটা নেন অ্যালান ডোনাল্ড।

একবার এবাদতের একটি বল প্যাডে লাগে জাকিরের। তখন ‘আউট’, ‘আউট’ বলে চিৎকার করেন এবাদত। আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড়ানো ডোনাল্ড তখন সিদ্ধান্ত থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠানোর ভঙ্গি করেন। এবাদত হয়তো আফসোসই করেছেন তখন, উইকেটটা যে পাওয়া হলো না!

উইকেট না পেলেও এবাদত খুশি ছিলেন তার বোলিংয়ে। শেষদিকে এসে ডোনাল্ডকে তিনি বলছিলেন, ‘আমি কিন্তু জাকিরকে ভালোই ভুগিয়েছি!’ তাতে হয়তো সম্মতি ছিল ডোনাল্ডেরও।

বাংলাদেশের অস্বস্তি, খুনসুটি আর সিরিয়াসনেসের দিনে অনুশীলনে নেমেছিল আফগানিস্তানও। রশিদ খান না আসায় তাদের দলে তারকা ওই অর্থে নেই, তবে তাদের মধ্যে তাড়না ছিল বেশ স্পষ্ট। আগেরবারের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইবে তারা। সেটি যেন না হয়, গামিনির সঙ্গে হাথুরুর লম্বা আলাপের কারণও তো তাই-ই!

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।