ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত উসাইন বোল্ট

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত উসাইন বোল্ট

ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট তিনি। সর্বকালের সেরা অলিম্পিয়ানের ছোট্ট তালিকাতেও তার নাম থাকতে বাধ্য।

সেই উসাইন বোল্টকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত করেছে আইসিসি।

ক্রিকেটের প্রতি বোল্টের ঝোঁকের কথা প্রায় অনেকেরই জানা। এক চ্যারিটি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্রিস গেইলকে আউট করার নজিরও গড়েছেন তিনি। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও যুক্ত হলেন জ্যামাইকার এই অ্যাথলেট।

ক্যারিবিয়ান অঞ্চল ও যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১ জুন থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। বোল্টের মতে, ক্রিকেটের প্রতি দ্রুতই আরও মনোনিবেশ করবে আমেরিকা।

বোল্ট বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। ক্যারিবিয়ান থেকে উঠে আসা মানুষ আমি, যেখানে ক্রিকেট জীবনেরই একটি অংশ, এই খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ এক জায়গা নিয়ে আছে এবং এমন মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখতে এবং বিশ্বকাপে নিজের শক্তি ও উৎসাহ দিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি। ’

‘আমেরিকা খেলাধুলা ও এর প্রভাবকে প্রচুর বিশ্বাস করে এবং আমার কাছে এই মার্কেটে প্রবেশ করাটা বড় ব্যাপার। যখন তারা কোনো খেলাকে অনুসরণ করে, সেটা খুব ভালোভাবেই করে এবং তাতে ডুবে যায়। আমি মনে করি, তারা যদি এটা ধরতে পারে, তাহলে  সঠিক পথেই এগোবে। তাদের উৎসাহ সম্পর্কে আমি যা জানি, তা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনতে পারলে দারুণ হবে। ’

 ১২৮ বছর পর ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে যুক্ত হচ্ছে ক্রিকেট। তা শুনে বোল্টও বেশ আনন্দিত।  তিনি বলেন, ‘এনবিএ খেলোয়াড়দের কথা শুনলে বুঝবেন, তারা যেভাবে সোনা জেতার ব্যাপারে কথা বলে—তারা এনবিএর শিরোপা জিতেছে, রিং পেয়েছে, কিন্ত এরপরও তাদের ভাবটা এমন, আমরা অলিম্পিকে গিয়েছিলাম। তারা (যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দল) কীভাবে (২০০৪ সালের অলিম্পিকে) হেরেছিল, এরপর তারা “রিডিম টিম”(২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের দলের নাম) পাঠাল—এ নিয়ে সেদিন একটা তথ্যচিত্র দেখেছি। তাদের নজর কীভাবে এক জায়গায় নিবদ্ধ ছিল, কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছিল (জিততে)। সোনার পদক পাওয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। সব খেলাই অলিম্পিকে ঢুকতে চায়। কারণ, এটা এতটাই বড় ব্যাপার। সোনার পদক জেতার পর পোডিয়ামে ওঠার ওই অনুভূতি দুর্দান্ত। ’
 
বাংলাদেশ সময়ঃ ০১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
এএইচএস     

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।