সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট বেশ মন্থর। তাই প্রথম ইনিংসেই গুলবাদিন নাইব বুঝে গিয়েছিলেন এখানে কী করতে হবে।
রশিদ যখন ১১তম ওভারে গুলবাদিনের হাতে প্রথম বল তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া তখন চাপ কাটানোর স্বস্তিতে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টইনিসে থাকায় জয়ের সম্ভাবনা হেলে থাকে তাদের দিকেই। কিন্তু গুলবাদিনের ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা। টানা চার ওভারের স্পেলে ২০ রান দিয়ে এ দুজন তো বটেই, শিকার করেন আরও দুজনকে। তার অসাধারণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে ইতিহাস ঘটিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো চ্যাম্পিয়ন দলকে হারানোটা তাই আফগানদের কাছে বড় অর্জনই।
৪ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক গুলবাদিন বলেন, 'এর জন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করেছি। আমার তো বটেই, আমার দেশ, দেশের মানুষের জন্য এটি এক বিশাল মুহূর্ত। আমার বলার কোনো ভাষা নেই তবে সেসব সমর্থকদের ধন্যবাদ যারা আমাদের ক্যারিয়ারে ও ক্রিকেটীয় যাত্রায় সমর্থন দিয়ে গেছে। নিজেদের ব্যাটিং ইনিংস থেকেই বুঝে ফেলেছিলাম কীভাবে বল করতে হবে। আমার ওপর আস্থা রাখায় রশিদকে ধন্যবাদ। এটি পুরোপুরি দলীয় প্রচেষ্টা, বিশেষ করে যেভাবে ইব্রাহীম-রহমানউল্লাহ ব্যাট করেছে এবং নাভিন যেভাবে বোলিং করেছে। '
'অবশেষে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পেরেছি। এটা আফগানিস্তানের জন্য বিশাল অর্জন। গত দশ বছরে অনেক কিছুই অর্জন করেছি আমরা, কিন্তু এটা বড় অর্জন। গত দুই মাসে কঠোর পরিশ্রম করেছি আমরা এবং এর ফল আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছি এবং এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকেও হারিয়েছি। অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন দল, তাই আমাদের কাছে এটি বড় টুর্নামেন্ট। সৌভাগ্যবান যে এমন দল ও ম্যানেজমেন্ট পেয়েছি আমি। '
সুপার এইটের শেষ ম্যাচ আগামী ২৫ জুন বাংলাদেশকে হারালেই সেমিফাইনালের রাস্তা সহজ হবে আফগানিস্তানের জন্য। তবে ভারত যেন অস্ট্রেলিয়াকে হারায় সেই প্রার্থনাও করতে হবে তাদের। গুলবাদিন বলেন, 'আসরের শুরু থেকেই, আমরা প্রতিটি ম্যাচের ওপর নজর দিয়েছি। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। বাংলাদেশ ভালো দল। কালো বিশ্রামের পর আমরা এই ম্যাচ নিয়ে ভাবব। '
বাংলাদেশ সময়ঃ ১০৪০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
এএইচএস