বৃষ্টি বা আলোকস্বল্পতার কারণে ক্রিকেট খেলায় বিঘ্ন ঘটলে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ফল নির্ধারণ করা হয়। সেই নিয়মের অন্যতম উদ্ভাবক ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন গত ২১ জুন।
১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল শেষে বৃষ্টি আইন নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। একটা পর্যায়ে ফাইনালে যেতে ১৩ বলে ২২ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ার পর সেই লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রান।
বিতর্ক এড়াতে প্রথমবারের মতো ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যবহৃত হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি। টনি লুইসকে সঙ্গে নিয়ে যা উদ্ভাবন করেছিলেন ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ। ২০০১ সালে সংশোধিত লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মের অন্তর্ভুক্ত করে আইসিসি। ২০১৪ সালে অবশ্য সেই নিয়মে কিছুটা পরিমার্জন আনেন অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন। যার ফলে তা এখন ডিএলএস মেথড নামে পরিচিত।
১৯৩৯ সালে জন্ম নেওয়া ডাকওয়ার্থ স্নাতক সম্পন্ন করেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই ধাতুবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির হয়ে। যদিও ২০১৪ সালে সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান ডাকওয়ার্থ। ২০১০ সালে তিনি ও লুইস একসঙ্গে এমবিই উপাধি লাভ করেন। ডাকওয়ার্থ মারা যাওয়ার চারদিন পরও তার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
এএইচএস
I'm sad to report that Frank Duckworth MBE, co-creator of the Duckworth-Lewis method for adjusting targets in rain-affected cricket matches, passed away last Friday. His method was used just yesterday in the rain-affected World Cup match between Afghanistan and Bangladesh. RIP. pic.twitter.com/GMgn0EQBjG
— Rob Eastaway (@robeastaway) June 25, 2024