দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সমার্থকই হয়ে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। বড় মঞ্চে বারবারই ব্যর্থ তারা।
বৃহ্স্পতিবার সকালে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা। এবারই প্রথম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে আফগানিস্তান। এজন্য তাদের ওপর কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির হেড কোচ জনাথন ট্রট। একই সঙ্গে প্রোটিয়াদের খোঁচা দিয়েছেন অতীত ইতিহাস নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। কিছু ছোট জায়গায়, বড় কিছু না। হতে পারে সেটা মানসিকতার কিছুটা বদল। কিন্তু একই সঙ্গে আমি মনে করি, আমরা সেমিফাইনালে যাচ্ছি কোনো ভয় অথবা অতীত ইতিহাস ছাড়া। এটা আমাদের জন্য অচেনা। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল যাবো আর নিজেদের সেরাটা দিয়ে আসবো। এখানে আগে থেকে ভেবে রাখা কোনো ধারণা নেই, অথবা অতীতে সেমিফাইনালে সাফল্য বা ব্যর্থতার ইতিহাস নেই। আমাদের জন্য এটা নতুন চ্যালেঞ্জ, সেমিফাইনালে এটা আমাদের দল হিসেবে ভয়ঙ্কর করবে। আমাদের হারানোর কিছু নেই, চাপ প্রতিপক্ষের ওপর। ’
গত এক-দেড় বছর ধরে আফগানিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কাছে গিয়েও সেমিতে যেতে পারেনি তারা। তবে এবার ঠিকই জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে। এর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ট্রটের। আফগানিস্তানের হেড কোচ হওয়ার আগে কী এত কিছু ভাবনায় ছিল?
ট্রট বলেন, ‘আমি যখন এই দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন এত প্রতিভা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি দলের দায়িত্ব নিয়ে সামান্য কিছু অদলবদল করেছি। কারোর ওপর কোনও চাপ দিইনি বা বাধা দিইনি। আমি চেষ্টা করেছি তীরের ধনুকটা শক্ত করে দিতে, যেন তারা আরও দূরে যেতে পারে, আরও ম্যাচ জিততে পারে এবং আরও উপরে উঠতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম