সাদমান ইসলাম নেট থেকে বের হলেন কেবল। লিটন দাসের সঙ্গে তিনি ব্যাটিং করেছেন লম্বা সময়।
এই উদ্বোধনী ব্যাটারের কাছ থেকে ব্যাট ও প্যাডে চেয়ে নিলেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। ধবধবে সাদা দাড়ি, শরীরেও বয়সের ছাপ। পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে বয়স আরও বছর চারেক আগে। এখন কি মুশতাক আবার ব্যাটিং করবেন?
আসলেই তিনি করলেন। এক পায়ে প্যাড পরে ব্যাট হাতে তুলে নেন এই স্পিন কোচ। প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভব হওয়া তাপমাত্রাতেই শুরু করেন ব্যাটিং। উদ্দেশ্য? শিষ্যদের পরখ করে দেখা। তিন স্পিনারই তাকে বল করলেন।
আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়িয়ে দলের অ্যানালিস্ট মহসিন শেখ। তার পেছনে পর্যবেক্ষক হেড কোচ ফিল সিমন্স। প্রতিটি বলের পরই কোনো না কোনো পরামর্শ দিচ্ছিলেন মুশতাক, প্রায়ই করছিলেন খুনসুটি। পেছনে দাঁড়িয়ে ফিল্ডাররা কোথায় কোথায় আছেন, তা বলে দিচ্ছিলেন সিমন্স ও মহসিন।
চার হাঁকিয়ে, রান নিয়ে শিষ্যদের বিপক্ষে খুব মন্দ ব্যাটিং অবশ্য করেননি মুশতাক। কিন্তু শরীর যে লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের সায় দেবে না, অনেকটা অনুমিতই। তাইজুলই তাই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে হাজির হলেন।
অভিজ্ঞ এই স্পিনার বললেন, ‘দুই বলের ভেতরই আউট করব। ’ মুশতাক বোল্ড হয়ে যান প্রথম বলেই। উল্লাসে মেতে ওঠেন তাইজুল ও বাকিরা। একজন বললেন, ‘গেম ওভার। ’ মুশতাকের নিশ্চয়ই মন খারাপ হয়নি। তিনি হয়তো চান, মাঠেও প্রতিটি বলই যেন এভাবে করেন তাইজুল!
সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন, 'এখানে তো আসলে অভিজ্ঞতার কোনো কিছু নেই। শুধু তিনি একটা প্রস্তাব করেছিলেন। হয়তো উনার ব্যক্তিগত কোনো কারণ থাকতে পারে। আমাদের সেটা বলেননি। আমরা ছয়টা করে বল করেছি। হ্যাঁ, আউট করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন। '
ঢাকা টেস্ট আগেভাগে শেষ হওয়ার পর মুশতাক ছুটে গিয়েছিলেন বিকেএসপিতে। জাতীয় লিগে খেলা রিশাদ হোসেনের সঙ্গে কাজ করেছেন সেখানে। চট্টগ্রামের নেটে ব্যাটিং করার পর তিনি ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন হাসান মুরাদের সঙ্গে।
এখনও টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই স্পিনার নিশ্চয়ই তার জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছেন আরেকটু। ১৪শ'র বেশি প্রথম শ্রেণির উইকেট পাওয়া কারো সান্নিধ্যের এমন সুযোগ তো আর নিয়মিত মেলে না!
বাংলাদেশ সময় : ১২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস