পরপর দুবার হেরে বসতে হয় ঘরের মাঠেই। ভারতের মাটিতেও সুযোগ মিলছিল না।
সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছর পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছে অস্ট্রেলিয়া। একইসঙ্গে আগামী জুনে লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও নাম লিখিয়েছে তারা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
৬ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। আগের দিন অপরাজিত থাকা রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে সাজঘরে ফেরান অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। পরের দুটি উইকেট নিয়ে ভারতকে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে স্কট বোল্যান্ড। সবমিলিয়ে ৪৫ রান খরচে ইনিংসে ৬ উইকেট ও প্রথমবারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেটের দেখা পান ডানহাতি এই পেসার।
১৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আগ্রাসী শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। সাইড স্ট্রেইন ইনজুরির কারণে এই ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি দলের সেরা তারকা জাসপ্রিত বুমরাহ। প্রসিধ কৃষ্ণা অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন বটে। যার ফলে ৫৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে স্যাম কনস্টাসকে (২২) ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর মার্নাস লাবুশেন (৬), স্টিভেন স্মিথ ও উসমান খাজাকে (৪১) তুলে নেন প্রসিধ। টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রান ছুঁতে কেবল ৫ রানই প্রয়োজন ছিল স্মিথের। কিন্তু ৯ বলে ৪ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। আপাতত ৯ হাজার ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
খাজা আউট হওয়ার পর দলকে কোনো বিপদ ছাড়াই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ট্রাভিস হেড ও বেউ ওয়েবস্টার। পঞ্চম উইকেটে ৫৮ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন তারা। ৩৪ বলে ওয়েবস্টার ৩৯ ও ৩৮ বলে হেড ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া। গত ২৮ বছরে এবারই প্রথম উদ্বোধনী ম্যাচ হেরে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল তারা। এদিকে সিডনি টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে মাঠে গড়িয়েছে কেবল ১ হাজার ১৪১ বল। ১৮৯৬ সালের পর আর কোনো ম্যাচই এর চেয়ে কম বলে শেষ হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ১৮৫ ও ১৫৭ (পন্ত ৬১, জয়সোয়াল ২২; বোল্যান্ড ৬/৪৫, কামিন্স ৩/৪৪)
অস্ট্রেলিয়া: ১৮১ ও ১৬২/৪ (খাজা ৪১, ওয়েবস্টার ৩৯*, হেড ৩৪*; কৃষ্ণা ৩/৬৫)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: স্কট বোল্যান্ড।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩–১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: জাসপ্রিত বুমরাহ (৩২ উইকেট)।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
এএইচএস