পাওয়ার প্লের ভেতরই একটি উইকেট হারালো ভারত। কিন্তু এর বেশি যেন আর কিছুই করার ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার।
শুক্রবার রাতে জোহানেসবার্গে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৫ রানে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। ওই রান তাড়া করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে অভিষেক শর্মার উইকেট হারায় ভারত। ১৮ বলে ৩৬ রান করে উইকেটের পেছনে তিনি ক্যাচ দেন শিপমালার বলে। ওই এতটুকু অবধিই। এরপরই শুরু হয় সাঞ্জু স্যামসান ও তিলক ভার্মার তাণ্ডব।
যেটি ইনিংসের একদম শেষ বল অবধি থামেনি। দুজনেই এর মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন, একের পর এক চার-ছক্কায় দিশেহারা করেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। তিলক ও স্যামসানের জুটিটি শেষ অবধি না ভেঙে ৮৬ বলে করে ২১০ রান। অনেকগুলো রেকর্ডেও নিজেদের নাম সবার উপরে তুলে দেন তারা।
পুরো ইনিংসে সবমিলিয়ে ২৩টি ছক্কা হাঁকায় ভারত। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দেশের ম্যাচে এত ছক্কা দেখা যায়নি আগে। মাস দুয়েক আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংসে ২২ ছক্কা হাঁকানোর নিজেদের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে ভারত।
অবশ্য ওই ম্যাচের ২৯৭ রান এখনও টি-টোয়েন্টিতে দুই পূর্ণ সদস্যের ম্যাচে সর্বোচ্চ। তিলক ভার্মা ও সাঞ্জুর জুটি এই ফরম্যাটে ভারতের জন্য যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। ৬টি চার ও ৯টি ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৯ রান করে সাঞ্জু স্যামসান ও ৯ চার এবং ১০টি ছক্কায় ৪৭ বলে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক।
ভারতের দেওয়া পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। স্রেফ তিন ওভার ও ১০ রানের ভেতর চার উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। রেজা হেনরিকসকে বোল্ড করে শুরু করেন আর্শদ্বীপ সিং।
চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়ার পর ক্রিস্তিয়ান স্টাবস ও ডেভিড মিলারের জুটিতে ভর করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে প্রোটিয়ারা। ২৭ বলে ৩৬ রান করা মিলারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন বরুন চক্রবর্তী, ২৯ বলে ৪৩ রান করার পর স্টাবসও আউট হয়ে যান রবি বিষ্ণয়ের বলে।
এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পরও আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বড় হারই সঙ্গী হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের হয়ে ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন আর্শদ্বীপ সিং।
বাংলাদেশ সময় :
এমএইচবি