গত কয়েক মাস ধরে নাহিদ রানার গতির সঙ্গে একটা শঙ্কাও হয়তো ভর করেছে। বাংলাদেশের কোনো পেসারের বলে গতি মানে তো তার ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কাও থেকে যায়।
বিপিএলেও শুরুটা করেছেন দারুণ। প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। দ্বিতীয়টিতে অবশ্য সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এমন পারফরম্যান্সে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও ঘরে তুলেছেন নাহিদ রানা। বিপিএলে প্রায় দেড় মাস ধরে ১২টি করে লিগ পর্বেই ম্যাচ খেলতে হবে খেলোয়াড়দের, প্লে অফে গেলে আরও অন্তত দুটি। এমন টুর্নামেন্টের আগে নাহিদের জন্য কি কোনো সতর্কবার্তা আছে বিসিবির পক্ষ থেকে?
উত্তরে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আমার মনে হয় পেস বোলার যারাই থাকে, সবারই একটা সেটআপ থাকে কীভাবে নিজেকে মেইনটেইন করবে। একই সঙ্গে দল যেটা চাচ্ছে, ও ওটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ’
‘ও (রানা) খুব ভালোমতো জানে নিজের যত্ন কীভাবে নিতে হবে। অবশ্যই বিসিবি থেকে ফিজিও ট্রেনার সবাই মনিটরিং করছে। এটা আমার কাছে মনে হয় খুব বড় ইস্যু না। আমার কাছে মনে হয় এখন ওই দিন নাই যে, পেস বোলার যেভাবে গ্রো আপ হচ্ছে; সবাই সবারটা জানে কার কী করতে হবে। ’
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় নাহিদ রানাকে। ওই ওভারেই দুই উইকেট নেন তিনি। আগের ম্যাচে তাকে করানো হয়েছে তিন ওভার। আসলে তাকে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বার্তাটা কী? প্রশ্ন ছিল সোহানের কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘ও ফ্রিলি বল করছে। ওর গতি আছে। নাহিদ ওর মতো বল করছে। ওর যখন কোনো কিছু নিয়ে দ্বিধা থাকে, আমার সঙ্গে শেয়ার করে। আমার কাছে মনে হয় ও ওর শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভালো বল করছে। দুইটা ম্যাচ হলো, দল থেকে চাইবো ও যেভাবে একশভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে, এটাই দেওয়ার চেষ্টা করুক। প্রক্রিয়া অনুসরণ করুক। ’
নাহিদ দলের জন্য এক্স ফ্যাক্টর কি না প্রশ্নের জবাবে সোহান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কোনো কিছু নিয়ে বলতে চাচ্ছি না। দল প্রতিটা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে কীভাবে চাচ্ছে, সে কীভাবে ডেলেভারি দিতে পারছে... আজকে যেমন রানা পঞ্চম ওভারে এসেছে, উইকেট দরকার ছিল, এনে দিয়েছে। জিনিসটা এরকমই, প্রতিটা খেলোয়াড়ের কতটা চাচ্ছে, সে কতটুকু দিতে পারছে এবং দল এটা থেকে কতটুকু উপকৃত হচ্ছে; এটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম