ঢাকা: অকল্যান্ডে বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে এক উইকেটে হারিয়ে চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২০০৪ সাল থেকে দু’দলের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচ বা সিরিজ চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি নামে পরিচিত হয়ে আসছে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে ৩২ ওভার দুই বল শেষে ১৫১ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ব্রাড হাডিন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বোল্ট একাই নেন পাঁচ উইকেট। এছাড়াও দুটি করে উইকেট লাভ করেন কোরি অ্যান্ডারসন ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরি।
১৫২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও কষ্টার্জিত জয় পায় কিউইরা। মিচেল স্টার্কের বিধ্বংসী বোলিংয়ে জয় থেকে ছয় রান দুরে থাকতে ৯ উইকেটের পতন ঘটে স্বাগতিকদের। ২৪তম ওভারে প্যাট কামিন্সের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে এক উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন ৪৫ রানে অপরাজিত থাকা কেন উইলিয়ামসন। অজিদের হয়ে স্টার্ক ক্যারিয়ার সেরা ছয় উইকেট লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪-০৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি গ্রেগ চ্যাপেল ও রিচার্ড হ্যাডলির নামকরণে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি’র যাত্রা শুরু হয়। দু’দেশের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ বা ম্যাচগুলো এই ট্রফির নামকরণে হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত আটটি সিরিজের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া চারটিতে ও নিউজিল্যান্ড দু’টিতে জয়লাভ করে। বাকি দু’টি সিরিজ ড্র হয়।
ম্যাচের দিক থেকেও অজিরা এগিয়ে। ২৪ বারের দেখায় ১১ ম্যাচে অস্টেলিয়া ও ১০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জয়লাভ করে। বাকি তিন ম্যাচ ড্র হয়।
২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০ পর্যন্ত প্রতি বছরই দু’দেশের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সিরিজগুলো তিন বা পাঁচ ম্যাচের হয়ে থাকে। এরপর আর কোনো সিরিজ হয়নি। আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচী অনুযায়ী ২০১৬-১৭ সালের আগ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার কোনো ওয়ানডে সিরিজ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫