ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের সাবেক স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান মার্টিন ক্রো ‘আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেম’এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। সাবেক এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৭৯তম সদস্য হিসেবে ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় যুক্ত হলেন।
উল্লেখ্য, আইসিসির পক্ষ থেকে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরুপ এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়।
আইসিসি হল অব ফেমে অভিষিক্ত হওয়ার দিনে মার্টিন আরেকটু হলে স্বদেশিদের পরাজয় দেখতেন। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস জিতে ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে ১৫১ রানেই গুটিয়ে যায় অজিরা। কিউইদের হয়ে পাঁচটি উইকেট দখল করেন বোল্ট। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিচেল স্টার্কের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে কষ্টার্জিত জয় পায় স্বাগতিকরা। অজিদের হয়ে ক্যারিয়ারসেরা ছয় উইকেট লাভ করেন স্টার্ক।
ম্যাচের ইনিংস বিরতির সময় কিংবদন্তি মার্টিনের হাতে স্মারক ক্যাপ তুলে দেন আইসিসির পরিচালক ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মি. ওয়ালি এডওয়ার্ডস। এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে আইসিসি হল অব ফেমে অভিষিক্ত হলেন ৫২ বছর বয়সী মার্টিন।
মার্টিন নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে হল অব ফেমে যুক্ত হয়েছেন। এর আগে কিংবদন্তি অলরাউন্ডার স্যার রিচার্ড হ্যাডলি ও মহিলা ক্রিকেটার ডেবি হকলি মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৭৭টি টেস্ট ও ১৪৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মার্টিন। টেস্টে ৪৫.৩৬ গড়ে ৫,৪৪৪ রান ও ওয়ানডেতে ৩৮.৫৫ গড়ে ৪,৭০৪ রান সংগ্রহ করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অকল্যান্ডে ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচের মধ্য দিয়ে তার জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে।
১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক ছিলেন মার্টিন। তার হাত ধরেই সেমিফাইনালে উঠে কিউইরা। মার্টিনের ৯১ রানের উপর ভর করে ২৬২ রান করেও পাকিস্তানে বিপক্ষে চার উইকেটে হেরে যায় স্বাগতিকরা। পরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের (৪৫৬ রান) পুরস্কার উঠে মার্টিনের হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫