আবারও সাকিব আল হাসান! প্রথম তিন উইকেট তুলে নেওয়ার পর মাঝে রুবেল ও নাসির দুই উইকেট তুলে নেন। ফিরতি স্পেলে বোলিং করতে এসে আবারও কিউই শিবিরে আঘাত হানলেন সাকিব।
৪৪তম ওভারের চতুর্থ বলে রঞ্চিকে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। ফলে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে কিউইদে সংগ্রহ ২৪৯। জয়ের জন্য দরকার ৩০ বলে ৪০ রান। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪ উইকেট।
প্রথম পাওয়ার প্লে’তে সাকিব একই ওভারে কিউদের দুই উইকেট তুলে নিলেও মাঝে ১৩১ রানের বড় পার্টনারশিপ গড়ে গাপটিল-টেলর জুটি। ৩০তম ওভারে এসে সাকিব আবারও আঘাত হানেন কিউই শিবিরে। এবার ফেরালেন সেঞ্চুরিয়ান গাপটিল।
এরপর ম্যাচের ৩৯তম ওভারের ৫ম বলে রুবেল হোসেনে ফেরান গ্রান্ট এলিয়টকে। তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে এলিয়ট করেন দলের পক্ষে অত্যন্ত কার্যকরী ৩৯ রান।
৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রস টেলরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান নাসির। টেলর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। আউট হওয়ার আগে টেলর ৯৭ বল মোকাবেলা করে ৫৬ রান সংগ্রহ করেছেন।
এর আগে গাপটিল ৯৪ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন। সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে করে ১০৫ রানে।
তবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলের সেঞ্চুরিতে টাইগারদের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে কিউইরা। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও উইলয়ামসনকে হারানোর পর শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে ক্রিজে থিতু হয়ে ব্যাট করেন মার্টিন গাপটিল।
রস টেলরকে সঙ্গে নিয়ে শত রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত ৬ষ্ঠ শতক।
৪০ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১১ রান। রস টেলর ৫৫ রান নিয়ে ব্যাট অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের হয়ে কিউইদের তিন ব্যাটসম্যানকে ফেরান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
দলীয় ২৭ রানের মাথায় একস্ট্রা কাভার দিয়ে বল তুলে দিতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন ম্যাককালাম। একই ওভারেই উইলয়ামসন তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
টাইগারদের দেওয়া ২৮৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে গাপটিল এবং ম্যাককালাম জুটি। বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ের সূচনা করেন সাকিব আল হাসান। শুরুর ওভারে কোনো রান নিতে দেননি কিউইদের।
এর আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং প্রদর্শনীতে ২৮৮ রানের বড় পুঁজি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে এ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়লেও মাহমুদুল্লাহর কাঁধে ভর করে বিপর্যয় সামলে ওঠে বাংলাদেশ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে সৌম্য সরকার তুলে নেন তার প্রথম অর্ধশতক।
সৌম্য আউট হয়ে ফেরার পর দ্রুত ফিরে যান সাকিব ও ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম। এরপর রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ঝড়ো গতিতে রান সংগ্রহ করেন সাব্বির রহমান। ২৩ বলে ৪০ রান করেন সৌম্য।
১২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এ রান সংগ্রহ করতে রিয়াদ খেলেন ১২৩ বল।
ম্যাচের ৩৯ ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যান্ডারসনকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। আউটি হওয়ার আগে মুশফিক করেন ২৫ বলে ১৫ রান।
ভেট্টোরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচের ৩৪তম ওভারের শেষ বলে অনেকটাই অবিবেচকের মতো ব্যাট চালিয়ে আউট হন তিনি। ১৮ বলে ২৩ রান সংগ্রহ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
১০ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে কিউইদের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫
** রুবেলের পর কিউই শিবিরে নাসিরের আঘাত
** রুবেল ফেরালেন এলিয়টকে
** আবারও জুটি ভাঙলেন সাকিব, ফিরলেন গাপটিল
** গাপটিলের সেঞ্চুরিতে শক্ত অবস্থানে কিউইরা
** গাপটিল-টেলর জুটিতে ব্যাট করছে কিউইরা
** প্রথম পাওয়ার প্লে’তে কিউইদের সংগ্রহ ৫৮/২
** ম্যাককালাম-উইলিয়ামকে ফেরালেন সাকিব
** ২৮৯ রানের টার্গেট ব্যাটিংয়ে কিউইরা
** কিউইদের ২৮৯ রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা
** রিয়াদ-সাব্বিরের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা
** ফিরলেন মুশফিক, ক্রিজে রিয়াদ-সাব্বির
** ভেট্টোরির বলে সাজঘরে সাকিব
** ফিরলেন সৌম্য, ক্রিজে সাকিব-রিয়াদ
** রিয়াদ-সৌম্যের ব্যাটে সচল রানের চাকা
** প্রথম পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৯
** বোল্টের আঘাতে সাজঘরে ইমরুল
** টাইগারদের ইনিংস সূচনায় তামিম-ইমরুল
** টসে হেরে ব্যাটিংয়ে টাইগাররা
** নিউজিল্যান্ডের সামনে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ