ঢাকা: ৩০১ রানের মাথায় ডি ভিলিয়ার্স বিদায় নিলে ব্যাটিং ক্রিজে রাইলি রুশো এবং ডেভিড মিলার জুটি বাঁধেন। দ্রুতই রান তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
৪৬ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ৩৫০ রান।
এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক হাঁকান ডু প্লেসিস। ৩৯তম ওভারের চতুর্থ বলে কেভিন ও’ব্রাইনের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ডু প্লেসিস। আউট হওয়ার আগে তিনি ১০৯ বলে ১০টি চার আর একটি ছয়ে করেন ১০৯ রান।
দলীয় ১২ রানের মাথায় প্রোটিয়া ওপেনার ডি কককে হারালেও আরেক ওপেনার হাশিম আমলা এবং তিন নম্বরে নামা ফাফ ডু প্লেসিস দলকে বেশ ভালোভাবেই টেনে নিয়ে যান। দু’জনে গড়ের বিশ্বকাপের দ. আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২৪৭ রানের পার্টনারশিপ।
এরপর ৪২তম ওভারে আইরিশ বোলার ম্যাকব্রাইন ফেরান ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠা ডি ভিলিয়ার্স এবং হাশিম আমলাকে।
প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় এড জয়েসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েও জীবন পান। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম শতক তুলে নেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
তবে, শেষ পর্যন্ত এড জয়েসের হাতেই ধরা পড়েন আমলা। ১২৮ বলে ১৫৯ রান করে বিদায় নেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ম্যাকব্রাইনের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ১৬টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কাও হাঁকান। সে ওভারে ডি ভিলিয়ার্সকেও ফেরান ম্যাকব্রাইন। ডি ভিলিয়ার্স আউট হওয়ার আগে ৯ বলে একটি চার আর দুটি ছয়ে করেন ২৪ রান।
পাওয়ার প্লে’তে দ. আফ্রিকা ১ উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৭ রান। ১০৪ বলে দলীয় শতক আসে প্রোটিয়াদের। ২০ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়ায় এক উইকেটে ১১৫ রান। আর ৩০ ওভার শেষে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দ. আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮১ রান। ৪০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় দুই উইকেটে ২৮০ রান।
পুল ‘বি’র ম্যাচে তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক। জন মুনির করা বলে উইকেটের পিছনে উইলসনের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে ডি কক করেন মাত্র ১ রান।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বিশ্বকাপের ২৪তম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দ. আফ্রিকার অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে ক্রিজে আসেন হাশিম আমলা এবং কুইন্টন ডি কক। আইরিশদের হয়ে প্রথম ওভারে বল হাতে আসেন জন মুনি। প্রথম ওভারটি তিনি মেইডেন দিয়ে শুরু করেন।
এর আগে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচের দু’টিতেই জয় পেয়েছে আইরিশরা। অপরদিকে তিন ম্যাচ শেষে আইরিশদের সমান দুটিতে জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
ওয়ানডে ম্যাচে এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে আয়ারল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। সবকটিতেই জয় পায় প্রোটিয়ারা। সর্বশেষ পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হারের স্বাদ পায় আমলা-ভিলিয়ার্সরা। অপরদিকে, সর্বশেষ পাঁচ ওয়ানডের চারটিতেই জয় পেয়েছে আইরিশরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ফাফ ডু প্লেসিস, রাইলি রুশো, এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, ফারহান বেহারদিয়ান, কাইল অ্যাবোট, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল ও ইমরান তাহির।
আয়ারল্যান্ড দল: উইলিয়ামস পোর্টারফিল্ড (অধিনায়ক), পর স্টার্লিং, এড জয়েস, নায়াল ও’ব্রায়েন, অ্যান্ডি বালবির্নি, গ্যারি উইলসন (উইকেটরক্ষক), কেভিন ও’ব্রায়েন, জন মুনি, ম্যাক্স সোরেনসন, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও জর্জ ডকট্রেল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ০৩ মার্চ ২০১৫
** ফিরলেন আমলা, ভিলিয়ার্স
** ডু প্লেসিস ফিরলেও রয়েছেন আমলা-ভিলিয়ার্স
** বড় সংগ্রহের দিকে দ. আফ্রিকা
** আমলা-প্লেসিসের শতক
** আমলার ২৯, ডু প্লেসিসের ১৫, শতরানের জুটি
** আইরিশদের হিসেবি বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রিত প্রোটিয়ারা
** শুরুতেই উইকেট খোয়ালো প্রোটিয়ারা
** ব্যাটিংয়ে নেমেছেন আমলা-ডি কক
** টস জিতে ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়ারা