ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় পাকিস্তান

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫
দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় পাকিস্তান

ঢাকা: বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে, দ্রুতই রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে বিদায় নেন সোয়েব মাকসুদ।

মিসবাহের সঙ্গে ৫৩ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৪৫ রান (৩১ বলে ৪টি চার আর ২টি ছয়) করে ফেরেন মাকসুদ।

৪৪ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তুলেছে ২৬০ রান। ৩১ বলে ৩৯ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মিসবাহ।

বিশ্বকাপে পুল ‘বি’র ম্যাচে নেপিয়ারে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ তৌকির।

পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে ক্রিজে আসেন আহমেদ শেহজাদ এবং নাসির জামশেদ। আর আমিরাতের বোলিং সূচনা করেন মোহাম্মদ নাভিদ।

শুরুতেই উইকেট খোয়ায় পাকিস্তান। মানজুলা গুরুজির করা চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন পাকিস্তানের ওপেনার নাসির জামশেদ। দলীয় ১০ রানের মাথায় খুররম খানের তালুবন্দি হন জামশেদ। আউট হওয়ার আগে তিনি ১২ বলে মাত্র ৪ রান করেন।

দলীয় ১০ রানে ওপেনার নাসির জামশেদকে হারিয়ে আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ এবং তিন নম্বরে ব্যাটিং ক্রিজে আসা হারিস সোহেল পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান।

আহমেদ শেহজাদ আর সোহেল ১৬০ রানের জুটি গড়েন। শেহজাদ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এগারোতম আর সোহেল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন। দু’জনই বিশ্বমঞ্চে প্রথমবারের মতো অর্ধশতকের দেখা পান।

৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্যক্তিগত ৭০ রান করে ফেরেন হারিস সোহেল। মোহাম্মদ নাভেদের বলে শাইমান আনোয়ারের তালুবন্দি হন সোহেল। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগে ৫টি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কা হাঁকান।

হারিস সোহেলের বিদায়ের পর ফেরেন পাকিস্তানের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। ব্যক্তিগত ৯৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম শতকের অপেক্ষায় থাকা শেহজাদ। আউট হওয়ার আগে ১০৫ বলে ৮টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান শেহজাদ।

পাওয়ার প্লে’তে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল এক উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেটে ৮৯ রান। আর ৩০ ওভার শেষে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা তোলে ১৪৮ রান।

এগারোতম বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও হারতে বসেছিলো পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত বোলারদের সাফল্যে জয় পায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর আগে ১৯৯৪ ও ১৯৯৬ সালে দু’বার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে আরব আমিরাত। দু’বারই শক্তিশালী পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে পরাজিত হয়েছে আরব অঞ্চলের দলটি।

পাকিস্তান একাদশ: নাসির জামশেদ, আহমেদ শেহজাদ, হারিস সোহেল, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), উমর আকমল (উইকেটরক্ষক) , শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মাকসুদ, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, রাহাত আলী এবং মোহাম্মদ ইরফান।

আরব আমিরাত একাদশ: আমজাদ আলী, আন্দ্রে বেরেঙ্গার, কৃঞ্চা চন্দ্রন, খুররম খান, স্বপ্নিল পাতিল (উইকেটরক্ষক), শাইমান আনোয়ার, রোহান মোস্তফা, আমজাদ জাভেদ, মোহাম্মদ নাভিদ, মোহাম্মদ তৌকির (অধিনায়ক) এবং মানজুলা গুরুজি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ০৪ মার্চ ২০১৫

** ফিরেছেন সোহেল, শতক বঞ্চিত শেহজাদ
** বিশ্বমঞ্চে শেহজাদ-সোহেলের প্রথম অর্ধশতক
** বড় জুটির আভাস দিচ্ছেন শেহজাদ-সোহেল
** সতর্ক থেকেই ব্যাট চালাচ্ছেন শেহজাদ-সোহেল
** পাওয়ার প্লে’তে পাকিস্তানের ৪১/১
** শুরুতেই উইকেট খোয়ালো পাকিস্তান
** ব্যাটিংয়ে নেমেছেন পাক ওপেনাররা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।