আফগানিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে এ দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়ার্নার-স্মিথ আর ম্যাক্সওয়েল।
নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪১৭ রান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটা দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
আর আফগানিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দৌলাত এবং শাহপুর। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হামিদ হাসান এবং নওরোজ মঙ্গল।
টসে জিতে আফগান অধিনায়ক নবী ব্যাটিংয়ে পাঠান অজিদের। নবীর সিদ্ধান্তকে অযোক্তিক প্রমাণ করে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড রান করেন ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েলরা।
শুরুর ১৪ রানে ফিঞ্চের উইকেট হারালেও ওয়ার্নার-স্মিথ জুটি দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেন। ব্যক্তিগত ১৭৮ রানে আউট হওয়ার আগে দলীয় সংগ্রহকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছানোর কাজটা ভালোভাবেই করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ম্যাক্সওয়েলর দ্রুততম অর্ধশতক ও স্মিথের ৯৫ রানের ইনিংস অস্টেলিয়াকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।
২১ বলে দ্রুতগতির অর্ধশতক গড়ে দলের রানের পাহাড়কে আরও উপরে নিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দৌলাত জাদরান অজিদের ওপেনিং জুটিতে আঘাত হেনে ফিঞ্চকে সাজঘরে ফেরান। ১৭৮ রানে শাহপুর জাদরানের বলে নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরেন ওয়ার্নার। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত স্মিথও শাহপুরের বলে নজিবুল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন।
ওয়ার্নার-স্মিথ অস্ট্রেলিয়দের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। তারা ২৬০ রানের জুটি গড়ে রিকি পন্টিং-ওয়াটসনের (২৫২ রান) আগের রেকর্ড টপকালেন।
বিশ্বকাপের ১১তম আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ২৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান।
বুধবার (০৪ মার্চ) পার্থে দু’দলের মধ্যকার এ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান অধিনায়ক মোহম্মদ নবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫
** ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে বড় সংগ্রহের পথে অজিরা
** ওয়ার্নার আউট, বড় সংগ্রহের পথে অজিরা
** ওয়ার্নারের শতকে বড় সংগ্রহের পথে অজিরা
** ওয়ার্নার-স্মিথের শতরানের জুটি
** ওয়ার্নারের অর্ধশতক, স্কোর ৬৮/১
** শুরুতেই ফিঞ্চকে ফেরালেন জাদরান
** ব্যাটিংয়ে ওয়ার্নার-ফিঞ্চ
** টসে হেরে ব্যাটিংয়ে অজিরা