আরও একবার বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছে আফগানিস্তান। ৪১৮ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে নবী বাহিনী।
মিচেল জনসন এবং স্টার্কের বোলিংয়ের তোপে পড়ে ৮ উইকেট হারালো আফগানরা। জনসন একাই নিয়েছেন তিন উইকেট, আর স্টার্ক ২ উইকেট। ৩৩ ওভার শেষে দলীয় স্কোর ৮ উইকেটে ১৩৫। প্রথম ১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৭৮।
রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে আফগানদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন ওসমান গণি এবং জাভেদ আহমাদি ভাল কিছু করতে পারেননি। স্কোর বোর্ডে ৩২ যোগ করতেই দুই ওপেনারই সাজঘরে ফেরেন।
৪১৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৩০ রানের মাথায় জনসনের বলে ফকনারের হাত ক্যাচ দেন ওসমান গণি। এরপর স্কোর বোর্ডে ২ রান যোগ করেই আরেক ওপেনার জাভেদ আহমাদি ব্যক্তিগত ১৩ রানে ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন নওরোজ মঙ্গল এবং স্তানিকজাই। কিন্তু দলীয় ৪৬ রানে জনসনের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন স্তানিকজাই।
ক্লার্কের বলে শেনওয়ারি (১৭) ও জনসনের আরেক স্পেলে ফিঞ্চের হাতে ক্যাচ দেন মঙ্গল (৩৩)।
আফগান অধিনায়ক নবীকে ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরে ফেরান ম্যাক্সওয়েল। এরপর স্টার্কের একই ওভারে দোলাত এবং নজিবুল্লাকে হারায় আফগানরা। ফলে ৩৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে ১৩১ রানে যোগ হতেই ৮ উইকেট হারায় নবী বাহিনী।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে রানের পাহাড় গড়েছে টিম অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে এ দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়ার্নার-স্মিথ আর ম্যাক্সওয়েল। এর মধ্যে ওয়ার্নার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৮ রান করলেও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন স্মিথ (৯৫) ও ম্যাক্সওয়েল (৮০)।
নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪১৭ রান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটা দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
আর আফগানিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দৌলাত এবং শাহপুর। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হামিদ হাসান এবং নওরোজ মঙ্গল।
টসে জিতে আফগান অধিনায়ক নবী ব্যাটিংয়ে পাঠান অজিদের। নবীর সিদ্ধান্তকে অযোক্তিক প্রমাণ করে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড রান করেন ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েলরা।
শুরুর ১৪ রানে ফিঞ্চের উইকেট হারালেও ওয়ার্নার-স্মিথ জুটি দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেন। ব্যক্তিগত ১৭৮ রানে আউট হওয়ার আগে দলীয় সংগ্রহকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছানোর কাজটা ভালোভাবেই করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ম্যাক্সওয়েলর দ্রুততম অর্ধশতক ও স্মিথের ৯৫ রানের ইনিংস অস্টেলিয়াকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।
২১ বলে দ্রুতগতির অর্ধশতক গড়ে দলের রানের পাহাড়কে আরও উপরে নিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দৌলাত জাদরান অজিদের ওপেনিং জুটিতে আঘাত হেনে ফিঞ্চকে সাজঘরে ফেরান। ১৭৮ রানে শাহপুর জাদরানের বলে নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরেন ওয়ার্নার। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত স্মিথও শাহপুরের বলে নজিবুল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন।
ওয়ার্নার-স্মিথ অস্ট্রেলিয়দের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। তারা ২৬০ রানের জুটি গড়ে রিকি পন্টিং-ওয়াটসনের (২৫২ রান) আগের রেকর্ড টপকালেন।
বিশ্বকাপের ১১তম আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ২৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান।
বুধবার (০৪ মার্চ) পার্থে দু’দলের মধ্যকার এ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান অধিনায়ক মোহম্মদ নবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫
** পাঁচ উইকেটে হারিয়ে বিপাকে আফগানরা
** জনসনের জোড়া আঘাতে ৩ আফগান সাজঘরে
** আফগান দুই ওপেনার সাজঘরে
** আফগানদের উডিয়ে রেকর্ড সংগ্রহ অজিদের
** ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে বড় সংগ্রহের পথে অজিরা
** ওয়ার্নার আউট, বড় সংগ্রহের পথে অজিরা
** ওয়ার্নারের শতকে বড় সংগ্রহের পথে অজিরা
** ওয়ার্নার-স্মিথের শতরানের জুটি
** ওয়ার্নারের অর্ধশতক, স্কোর ৬৮/১
** শুরুতেই ফিঞ্চকে ফেরালেন জাদরান
** ব্যাটিংয়ে ওয়ার্নার-ফিঞ্চ
** টসে হেরে ব্যাটিংয়ে অজিরা