ঢাকা: জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের ৫০৭ রানের জবাবে তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। বুধবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগের দিনের এক উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে চট্টগ্রাম।
দিনের শুরুতেই আরো দুই উইকেট হারালে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। নাজিমউদ্দিন ৪৮ রান করে কিছুটা লড়াই চালালেও বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে চট্টগ্রামের। ৬ উইকেটে ১৫৭ রান তোলার পর দিনের খেলা শেষ হয়। এখনো সিলেটের চেয়ে ৩৫০ রানে পিছিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। বৃষ্টির কারণে যথাসময়ে খেলা মাঠে গড়ায়নি। তৃতীয় দিনে মাত্র ৪৫ ওভার খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেট বিভাগের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট দখল করেছেন সাদিকুর রহমান। এছাড়াও একটি করে উইকেট লাভ করেন আবুল হাসান, নাবিল সামাদ ও আবু জায়েদ।
অলক কাপালির ডাবল সেঞ্চুরি (২১১) ও রাজিন সালেহর সেঞ্চুরিতে (১১১) আট উইকেটে ৫০৭ রান তোলার পর প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল সিলেট বিভাগ।
বরিশাল-রাজশাহী
বিকেএসপির দুই নম্বর মাঠে রাজশাহীর বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৬ রানের লিড নিয়েছে বরিশাল বিভাগ। আগের দিনের দুই উইকেটে ৫৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলেছে।
ফজলে রাব্বির ৭৫, মোসাদ্দেক হোসেনের ৮৮ ও আল আমিনের ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে এ স্কোর দাঁড় করায় কামরুল ইসলামের দল।
সাকলাইন সজিবের স্পিন ঘূর্ণিতে ২৩৫ রানে শেষ হয়েছিল বরিশালের প্রথম ইনিংস। জবাবে সোহাগ গাজীর স্পিন জাদুতে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় রাজশাহী।
ঢাকা মেট্টো-খুলনা
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে খুলনার করা ৪১৬ রানের জবাবে ৩৪১ রানে শেষ হয়েছে ঢাকা মেট্টোর প্রথম ইনিংস। আগের দিন তিন উইকেটে ১৮৬ রান তুলেছিল ঢাকা মেট্টো। সেখান থেকে মেহরাব হোসেনের ৮১ ও শরিফউল্লাহর ৫৭ রানের ইনিংসে এ রান করে মেট্টো।
খুলনার হয়ে আব্দুর রাজ্জাক একাই নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলেছে খুলনা। ফলে, তাদের লিড গিয়ে দাঁড়াল ১০১ রানে। হাতে রয়েছে পুরো ১০টি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫