পুল বি’র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে শনিবার (০৭ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় মাঠে নামবে দু’দল।
এবারের বিশ্বকাপে বড় দলের বিপক্ষে জয় নেই পাকিস্তানের। তাই দলটির আত্মবিশ্বাসও তলানীতে। জিম্বাবুয়ে ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ে শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রয়েছে মিসবাহ-উল-হকের দল।
অন্যদিকে দুর্দান্ত ফর্ম আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে প্রোটিয়াদের। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এ তিন ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ ইতিহাসও প্রোটিয়াদের পক্ষে। টানা তিন বিশ্বকাপে (১৯৯২-৯৯) পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একবারও হারেনি তারা।
পাক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক কালকের ম্যাচকে চাপ হিসেবে না নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো করার সুযোগ মনে করছেন। ‘আমাদের সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হলে এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের ক্রিকেটারদের মাথায় রয়েছে। আমরা অকল্যান্ডের ম্যাচে ভালো করতে মুখিয়ে আছি। ’
প্রোটিয়া পেসার ডেল স্টেইন ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আশা করি কাল জিতে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করবো। ’
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং সামর্থ্যকে সমীহ করতেই হবে পাকিস্তানকে। আগের যে কোনো বিশ্বকাপের চেয়ে এবারকার দলটির ব্যাটিং পরিশীলিত ও ধারাবাহিক। হাশিম আমলা, ডি ভিলিয়ার্সরা রয়েছেন দারুণ ছন্দে।
পাকিস্তান দলের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ধারাবাহিকভাবে রানের দেখা পাচ্ছেন মিসবাহ-উল-হক। রান খরায় ভুগতে থাকা পাকিস্তান টপঅর্ডার আমিরাত ম্যাচে এসে রানের দেখা পেয়েছে। রান পেয়েছেন আহমেদ শেহজাদ, হারিস সোহেল, শোয়েব মাকসুদরা।
ব্যাটিংয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বোলিংয়ে ছেড়ে কথা বলবে না পাকিস্তান। ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ ইরফানদের সামলানো একেবারে সহজ হবে না কক-ভিলিয়ার্স-আমলাদের। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন, মরনি মরকেলদের গতি সামলানোও কঠিন হতে পারে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের জন্য।
দু’দলের স্পিন শক্তিও কাছাকাছি মানের। উভয় দলেই রয়েছে স্বীকৃত লেগস্পিনার। পাকিস্তান দলের শহিদ আফ্রিদির বিপরীতে প্রোটিয়া দলে রয়েছে ইমরান তাহির। তাই লড়াইটা থাকছে স্পিন ডিপার্টমেন্টেও।
এ ম্যাচে পাকিস্তান জয় পেলে পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট হবে ছয়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হবে পাকিস্তান। আর হারলে নেমে যেতে হবে পাঁচ নম্বরে। যেখান থেকে শেষ আটে ওঠা অসম্ভবও হয়ে উঠতে পারে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের জন্য।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: নাসির জামশেদ/সরফরাজ আহমেদ, আহমেদ শেহজাদ, হারিস সোহেল, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), উমর আকমল (উইকেটরক্ষক), শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মাকসুদ, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, রাহাত আলি ও মোহাম্মদ ইরফান।
দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাব্য একাদশ: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ফাফ ডু প্লেসিস, এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, ফারহান বেহারদিয়ান/রিলি রুশো, কাইল অ্যাবোট/ভারলন ফিল্যান্ডার, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল ও ইমরান তাহির।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫