ঢাকা: শেষ দশ ওভারে এসে দ্রুতই সাজঘরে ফিরছেন আইরিশরা। ৪০ ওভার শেষে ২১২ রানে ৫ উইকেট থাকলেও পরবর্তী ৪ ওভারে আরও ৩ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
এর মধ্যে আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছেন নেল ওব্রায়েন।
শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের কোনো ছাড় না দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে রান তোলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার। এরপর নেইল ও’ব্রায়েন এবং অ্যান্ডি বালবিরনি ভাল একটা জুটি গড়েন। ৪৫ বল থেকে ৬১ রানের একটি জুটি গড়ে বিদায় নেন ২৪ বলে ২৪ রান করা বালবিরনি।
অশ্বিনের নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে শামির তালুবন্দি হন বালবিরনি। তবে, নেইল ও’ব্রায়েন ৬৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
এরপর শামির বলে কেভিন ও’ব্রায়েন ২ বল খেলে ১ রান নিয়ে ধোনির গ্লাভসবন্দি হন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড ৪০ ওভার থেকে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২১২ রান।
চলতি বিশ্বকাপে পুল ‘বি’র ম্যাচে মাঠে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত এবং চমক জাগানো দল আয়ারল্যান্ড। ৩৪তম ম্যাচে টস জিতে আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
আইরিশদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন উইলিয়ামস পোর্টারফিল্ড এবং পল স্টার্লিং। আর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে বল হাতে সূচনা করেন উমেশ যাদব।
ভারতের বোলারদের বেশ ভালোভাবে সামলে নিয়ে খেলছিলেন আইরিশদের দুই ওপেনার। তবে, অশ্বিনের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে রাহানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পল স্টার্লিং। আউট হওয়ার আগে তিনি ৪১ বলে ৪টি চার আর ২টি ছয়ে করেন ৪১ রান। বিশ্বমঞ্চে এ জুটি থেকে আইরিশদের সর্বোচ্চ ৮৯ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপও গড়ে উঠে।
পল স্টার্লিংয়ের উইকেট তুলে নেওয়ার পর সুরেশ রায়না বোল্ড করে ফেরান তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা এড জয়েসকে। ফলে দলীয় ৯২ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে আইরিশদের।
দলীয় ৯২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর আবারো ব্যাটিং ক্রিজে জুটি গড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। তবে, দলীয় ৩২তম ওভারে মোহিত শর্মার বলে যাদবের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন পোর্টারফিল্ড। আউট হওয়ার আগে তিনি ৯৩ বলে ৬৭ রান করেন। আইরিশ এ দলপতির ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার আর একটি ছয়ে।
পাওয়ার প্লে’র প্রথম ১০ ওভার থেকে দুই ওপেনার তুলে নেন ৬৪ রান। আয়ারল্যান্ডের দলীয় শতক আসে ১৩০ বলে। ২০ ওভার পর আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯৬/২। ৩০ ওভার শেষে আইরিশরা তোলে দুই উইকেটে ১৪২ রান।
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অনেকটা বলে-কয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় আয়ারল্যান্ড। ৪ ম্যাচ খেলে আইরিশদের জয় ৩টিতে। অন্যদিকে, বিশ্বকাপে অপরাজিত থাকা ভারত ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে আয়ারল্যান্ড। ২০০৭ সালে বেলফাস্টে ৯ উইকেটে ও ২০১১ বিশ্বকাপে ব্যাঙ্গালোরে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে পরাজিত হয় তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ১০ মার্চ ২০১৫
** আইরিশদের পঞ্চম উইকেটের পতন
** দারুণ খেলে ফিরলেন পোর্টারফিল্ড
** আয়ারল্যান্ডের সামলে উঠার চেষ্টা
** আইরিশ শিবিরে ভারতের জোড়া আঘাত
** পাওয়ার প্লে’তে আইরিশদের ৬৪/০
** সাবলীল ব্যাটিংয়ে আইরিশরা
** ব্যাটিংয়ে নেমেছে আইরিশরা
** টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা