ঢাকা: রোববার আয়ারল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব। ১৪ ফেব্রয়ারি ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫’র।
এর মধ্যে ১২ জন আম্পায়ার ছিলেন আইসিসির এলিট প্যানেলের। বাকি ৮ জন ‘ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অব আম্পায়ারর্স অ্যান্ড রেফারি’র সদস্যভূক্ত।
আম্পায়ারদের মধ্যে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচজন, শ্রীলঙ্কার তিনজন, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই জন ছিলেন। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন করে আম্পায়ার বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করেন।
চারটি কোয়ার্টার ফাইনাল, দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলে একাদশতম বিশ্বকাপ আসরের ম্যাচ বাকি মাত্র সাতটি। বিশ্বকাপ শেষের দিকে চলে আসায় ছোট হয়ে আসছে আম্পায়ারদের তালিকাও। কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি ম্যাচের জন্য আম্পায়ারদের তালিকা ঘোষণা করেছে আইসিসি।
১৮ মার্চ প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি পরিচালনা করবেন অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার রব ট্যাকার ও ইংল্যান্ডের নাইজেল লং। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটিতে দেখা যাবে এই দুই অভিজ্ঞ আম্পায়ারকে।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। ১৯ মার্চ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) এ ম্যাচটি পরিচালনা করবেন ইংল্যান্ডের ইয়ান গুড ও পাকিস্তানের আলিম দার।
২০ মার্চ অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিতব্য অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নামবেন দক্ষিণ আফ্রিকার মারিস ইরাসমাস ও লংকান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।
২১ মার্চ শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলিংটনে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবোরো ও অস্ট্রেলিয়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ড।
বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলো পরিচালনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন আম্পায়াররাও। কোনো বিতর্ক ছাড়াই ম্যাচ পরিচালনা করাই লক্ষ্য তাদের। সততা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আম্পায়াররা ম্যাচ পরিচালনা করবেন-এটাই বিশ্বাস ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫