মিরপুর থেকে: নাসিরের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাশের গ্লাভসবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন শিখর ধাওয়ান (৫৩)। অন্যদিকে, ক্রিজে নেমে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন আম্বাতি রাইডু।
এর আগে বিরাট কোহলিকে (২৩) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন নাসির হোসেন।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি ভারতের সংগ্রহ ২৪ ওভার শেষে চার উইকেটে ১২১ রান। মহেন্দ্র সিং ধোনি ২৯ ও সুরেশ রায়না ৮ রানে ব্যাট করছেন।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। টাইগারদের বোলিং সূচনা করতে আসেন টাইগারদের বোলিং চমক মুস্তাফিজুর রহমান। আর ভারতের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান।
আগের দিন কাউন্টার অ্যাটাকের তত্ত্ব দিয়ে ম্যাচে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ ধরেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। তরুণ তুর্কি মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে দাঁড়ানো সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতেও রোহিত মুস্তাফিজের বলে দিশেহারা হয়ে সাজঘরে ফেরত গিয়েছিলেন।
সফরকারীরা রোহিত শর্মার উইকেটটি হারিয়ে বেশ সতর্ক থেকে ব্যাট করে চলছিল। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান এবং বিরাট কোহলি দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অবশেষে নাসিরের বলে পরাস্ত হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কোহলি। নাসিরের বলে এলবির ফাঁদে পড়ার আগে কোহলি করেন ২৩ রান। আউট হওয়ার আগে কোহলি-ধাওয়ান ৭৪ রানের জুটি গড়েন।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন নেই। প্রথম ওয়ানডের দলটিই রেখে দিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে, ভারতের একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছেন আজিঙ্কা রাহানে, উমেশ যাদব ও মোহিত শর্মা। তাদের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন আম্বাতি রাইডু, আকসার প্যাটেল ও ধাওয়াল কুলকার্নি।
প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারীদের ৭৯ রানে হারিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী লাল-সবুজের বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারতকে দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা।
ওয়ানডেতে ৩০ বারের মোকাবেলায় ভারতকে হারানো গেছে মাত্র চারবার। এর আগেও দ্বি-পক্ষীয় ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ১৫ রানে হারিয়ে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগায় টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। তবে, বদলে যাওয়া টাইগারদের এবারের প্রসঙ্গটি ভিন্ন।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাশ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন।
ভারত দল: শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আম্বাতি রাইডু, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আকসার প্যাটেল, ভূবনেশ্বর কুমার ও ধাওয়াল কুলকার্নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ২১ জুন ২০১৫
এমআর
** ধাওয়ানের অর্ধশতকে এগুচ্ছে টিম ইন্ডিয়া
** নাসিরের ঘূর্ণিতে সাজঘরে কোহলি
** পাওয়ার প্লে’তে ভারতের ৬৫/১
** টাইগার পেসে সতর্ক বিরাট, ধাওয়ান
** মুস্তাফিজেই কাটা পড়লেন রোহিত
** টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে ভারত