ঢাকা: আবারও প্রতিপক্ষের উইকেট শিকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাঘা মুস্তাফিজুর রহমান। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের সপ্তম ওভারেই তিনি ঝুলিতে পুরলেন রোহিত শর্মার উইকেট (২৯)।
টাইগারদের ‘বাংলাওয়াশ’ নিশ্চিত আর ভারতের মানরক্ষার ম্যাচটিতে বরবারের মতোই আক্রমণের নেতৃত্ব ভার মুস্তাফিজুরকে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগের দু’ম্যাচে ভীষণ ভোগানো এ বাঁহাতি পেসারকে শুরু থেকেই সমীহ করে ব্যাট করতে থাকেন ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত ও শিখর ধাওয়ান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষে হলো না শর্মার। সপ্তম ওভারের শেষ বলে তাকে বিষাক্ত কার্টার দিয়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বাঘা বাঁহাতি মুস্তাফিজুর। টানা তৃতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজুরের শিকার হন ‘কাউন্টার অ্যাটাক’ তত্ত্বের ব্যাটসম্যান শর্মা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের প্রথম উইকেট শিকার করলেন মুস্তাফিজুর।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজুরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৩০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা ভারত ২২৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ওই ম্যাচে টাইগার পেসার শিকার করেন রোহিত, আজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, রবিন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উইকেট।
দ্বিতীয় ম্যাচেও আগুন ঝরান সাতক্ষীরার এ তরুণ তুর্কি। ওই ম্যাচে টসে জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নামলেও মুস্তাফিজুরের বোলিং তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে ২০০ রানেই গুটিয়ে যায়। ওই ম্যাচে তার শিকার হন রোহিত, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রায়না, এ আর প্যাটেল, অশ্বিন ও জাদেজা।
অভিষেক ম্যাচে পাঁচ ও পরের ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজুর বসে যান বিশ্বরেকর্ডের ঈর্ষণীয় আসনে। তার আগে ক্যারিয়ারের প্রথম দু’ম্যাচে পাঁচ উইকেট করে ১০ উইকেট নেওয়ার একক রেকর্ড ছিল জিম্বাবুইয়ান বোলার ব্রায়ান ভিটোরির।
ওই রেকর্ডের পর মুস্তাফিজুর এবার গড়তে যাচ্ছেন আরেক রেকর্ড। তিন ম্যাচ সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে অস্ট্রেলিয়ান পেসার রায়ান হ্যারিসের। মুস্তাফিজুর বুধবারের ম্যাচে এক উইকেট নিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১২ উইকেট লাভের কীর্তি গড়েছেন। আরেক উইকেট পেলে তিনি হ্যারিসকে ছুঁয়ে ফেলবেন, আর দুই উইকেট পেলে ছাড়িয়ে যাবেন হ্যারিসকেও। তার ওভার বাকি এখনও ৫টি।
কেবল হ্যারিসের রেকর্ডই নয়, মুস্তাফিজুরের বিস্ময়কর উত্থানে এখন দূর অতীতের বোলিং রেকর্ডগুলোও খুঁজে বের করতে হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। কে জানে, কার কুরসি কখন দখল করে বসেন মুস্তাফিজুর!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
এইচএ/