ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলে ফন ডার মারউই উপেক্ষিতই বটে। ত্রিশ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন পাঁচ বছর আগে।
সোমবার (২৯ জুন) ডাচ পাসপোর্ট পেয়েছেন মারউই। এর মধ্য দিয়েই প্রোটিয়াদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হলো। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট ক্লাব টাইটান্সের হয়ে চলতি মৌসুমসহ ৯টি মৌসুম কাটিয়েছেন।
নাগরিকত্ব পাওয়ার একদিন পর (মঙ্গলবার) নেপালের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মারউইকে নেদারল্যান্ডসের স্কোয়াডে রাখা হয়। কিন্তু, মূল একাদশে সুযোগ পাননি। ডাচদের নাগরিকত্ব পাওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুবিধাও পাবেন মারউই। স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিতে পারবেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে।
বর্তমানে মারউইর প্রধান লক্ষ্য ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা। ডাচরা বাছাইপর্বের বাধা উতরাতে পারলেই তার লক্ষ্য পূরণ হবে।
এক সাক্ষাৎকারে মারউই বলেন, ‘গত আট বছর ধরে টাইটান্স পরিবারের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমার ক্রিকেট যাত্রা অব্যাহত থাকবে। দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার ও পরিবারের স্বার্থেই ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছি। ’
টাইটান্স কোচ রব ওয়াল্টার বলেন, ‘মারউইর মধ্যে কখনোই হেরে যাওয়ার মনোভাব ছিল না। সে খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক ক্রিকেটার এবং ম্যাচ উইনার। ’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মারউই। ব্যাট হাতে ওডিআইতে ৩৯ ও টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৪ উইকেট। অলরাউন্ডার হলেও বাঁহাতি স্পিনার হিসেবেই তার দক্ষতা বেশি ছিল।
২০০৯ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে মারউইর দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অভিষেক ঘটে। পরের মাসে অজিদের বিপক্ষেই প্রথম একদিনের ম্যাচে মাঠে নামেন। প্রোটিয়াদের হয়ে তিনি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ২০১০ সালের জুনে। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৫
আরএম