ঢাকা: একটা ম্যাচ হার-তাতেই পাল্টে গেছে টিম হোটেলের চিত্র। হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের চোখে-মুখেও আক্ষেপের ছাপ।
যেই অধিনায়ক সবসময় ভালো শুরুর কথা বলেন, মোমেন্টাম নিজেদের পক্ষে রাখার কথা বলেন-সেই মাশরাফির মুখখানা মলিন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলেও কিছুটা নির্লিপ্ত থেকেছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাকী ক্রিকেটারদের মাঝেও লক্ষ্য করা গেছে এমন নির্লিপ্ততা!
সকালটা হোটেলে কাটানোর পর ১২টার দিকে অনুশীলনের জন্য মিরপুরের দিকে রওয়ানা হন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে ছিলেন জুবায়ের হোসেনও। এর কিছু সময় পরই আলাদা গাড়িতে সাব্বির রহমানও ছোটেন স্টেডিয়ামের দিকে। এ তিনজনই সোমবার (০৬ জুলাই) ঐচ্ছিক অনুশীলনে অংশ নেন।
নিজের গাড়িতে করে সাকিব আল হাসান বের হয়ে পড়েন সাড়ে ১২টার দিকে। জানা যায়, এই অলরাউন্ডারের গন্তব্য বনানীর নিজ বাসা। আরেক অলরাউন্ডার নাসির হোসেন হোটেল ছেড়ে বের হন প্রয়োজনীয় কাজে। অফস্পিনার সোহাগ গাজীও প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বের হয়েছিলেন হোটেল থেকে। তবে, আরাফাত সানিকে দেখা যায় হোটেল লবিতে।
হোটেলে একটু নীরব সময় কাটিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজ জানান, ‘সারাদিন হোটেলেই ছিলাম। বিকেলে বের হবো। সাতক্ষীরার একটি সংগঠনের ইফতার পার্টির দাওয়াত আছে, সেখানে যাব (বিকেল পাঁচটার পর সেখানে যাওয়ার কথা তার)। ’
তরুণ ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের সময়টা একটু অন্যরকম কেটেছে। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলন তাকেই সামলাতে হয়। এ সময় প্রথম ম্যাচ ও দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে দলের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের জানাতে হয় সৌম্যকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ০৬ জুলাই ২০১৫
এসকে/এমআর