ক্রিকেট হবে ব্যাটে বলে, রং তুলিতে কেন? জয় পেতে ব্যাট বলের রঙিন হাসির বিকল্প নেই। আর রঙিন হাসির অনুপ্রেরণা কিংবা সাহসিকতা আসে গ্যালারিতে বসে থাকা রঙিন মুখগুলো থেকে।
আর সেই সাজ-সজ্জা করানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন একদল তরুণ-তরুণী। খেলা হলে রং তুলি হাতে ছুটে চলেন স্টেডিয়ামের চারপাশে। বিশেষ করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের এ কাজে আগ্রহ চোখে পরার মত।
তবে এবারের আয়োজন সবার জন্য একটু বেশি উৎসবের। কারণ ঈদের আগে মিলছে বাড়তি আয়ের সুযোগ। যদিও রমজানে দর্শক আগমন কিছুটা কম।
সরকারি বাংলা কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রনি বলেন ‘টি-টোয়েন্টির সময় মানুষজন কম ছিল, ওয়ানডে ম্যাচে দেখবেন মানুষ বাড়বে’। তিনি আরও জানান এবার তার সীমিত আয় হলেও কেউ কেউ বেশ ভাল কামিয়েছে।
নিউ মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবেলের আগ্রহের কারণ এই কাজে রয়েছে খুবই অল্প বিনিয়োগে ভাল লাভের সুবিধা।
এদিকে রং তুলি শিল্পীদের পাশাপাশি ব্যস্ত থাকেন পতাকা বিক্রেতারাও। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলোর পর একমাত্র খেলা উপলক্ষে পতাকা, জার্সি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ড বিক্রি হয়ে থাকে। তাই বাড়তি আয়ে ঈদের আনন্দ একটু বেশি হতেই পারে।
আনন্দ বজায় থাকুক মাঠেও। জয় হোক কোটি প্রাণের। জেগে উঠুক লাল সবুজের জার্সি গায়ের রঙিন মুখগুলো। সার্থক হোক রনি, রুবেলদের রং তুলির আচর। মাঠেও সফল হোক মুশফিক-মাশরাফি-তামিম-সাকিবরা। এমন কামনা করা যেতেই পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ০৯ জুলাই ২০১৫
এমআর