ঢাকা: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে পাকিস্তান। তাই সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
বাজেভাবে ম্যাচ হারলেও ৩-২ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এর আগে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও (২-১) জয় পায় মিসবাহ-ইউনিসরা। আগামী ৩০ জুলাই শুরু হবে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
হাম্বানটোটায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ওপেনার কুশাল পেরেরার শতকে ভর করে পাকিস্তানকে ৩৬৯ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দেয় শ্রীলঙ্কা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে আজহার আলী (৩৫) ও আহমেদ শেহজাদ (১৮) মিলে ৫১ রান তোলেন। এর পরই ছন্দপতন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৫ রান যোগ করেন মোহাম্মদ হাফিজ (৩৭) ও সরফরাজ আহমেদ (২৭)। এছাড়া আর কোনো বড় জুটি গড়ে উঠেনি। শেষ পর্যন্ত ১২.৪ ওভার বাকি থাকতেই ২০৩ রানে সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ২৯ রান।
লঙ্কানদের হয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন স্পিনার সাচিত্রা সেনানায়েকে। থিসারা পেরেরা নেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট লাভ করেন লাহিরু গোমেজ, ম্যাথিউস ও মিলিন্ডা সিরিবর্ধনে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েন কুশাল পেরেরা ও তিলেকারাত্নে দিলশান। ব্যক্তিগত ৬২ রানে দিলশান রান আউটের ফাঁদে পড়েন। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দশ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ৩৮ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
পেরেরাও (১১৬) দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে ৯০ বল মোকাবেলায় ৯টি চার ও তিন ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে শতক তুলে নেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ম্যাথিউস (৭০) ও সিরিবর্ধনের (৫২) অবিচ্ছিন্ন ১১৪ রানের সুবাধে চার উইকেটে ৩৬৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লঙ্কানরা। তার আগে লাহিরু থিরিমান্নে ৩০ ও দিনেশ চান্দিমাল ২৯ রান করে আউট হন।
পাকিস্তানের হয়ে রাহাত আলী দুটি উইকেট লাভ করেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে সেঞ্চুরিয়ান পেরেরার হাতে। আর সিরিজ সেরা হন হাফিজ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
আরএম