ঢাকা: চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টেও বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। টেস্ট শুরুর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে পরদিন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় অন্তত ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
মূলত উত্তর বঙ্গোপসাগরে গত কয়েক দিন ধরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া মৌসুমি নিম্নচাপের প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত হবে।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ছানাউল হক জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশালের মধ্যবর্তী এলাকা অতিক্রম করতে পারে। তখন বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। সে সময় উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
উপকূলীয় দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপটি বুধবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি. মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দগুলো উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
আইএ/জেডএম/