ঢাকা: শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। হাতে এক উইকেট।
এর মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা।
অনুশীলনে কব্জিতে চোট পাওয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে খেলতে পারেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার জায়গায় ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার দাসুন শানাকার লঙ্কান দলে অভিষেক ঘটে। অন্যদিকে, ব্যাটসম্যান কিথুরুয়ান ভিতানাগের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষিক্ত হন শিহান জয়সুরিয়া।
কলম্বোতে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ১৭৩ রানের লক্ষ্য বেধে দেয় লঙ্কানরা। তবে ৪০ রান তুলতেই টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় পাকিস্তান। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬১ রান করে চাপ সামাল দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৭) ও শহীদ আফ্রিদি।
মাত্র ২২ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ‘বুমবুম’ আফ্রিদি। তবে এ তারকা অলরাউন্ডারকেও ছাপিয়ে যান পেসার আনোয়ার আলী। তিনি ১৭ বলে ৪৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন।
তবে, উনিশতম ওভারের চতুর্থ বলে আনোয়ারকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের ম্যাচে ফেরান লাসিথ মালিঙ্গা। এক বল পর সোহেল তানভীর রান আউট হলে জয়ের পাল্লাটা স্বাগতিকদের কাঁধে ঢেলে পড়ে। কিন্তু, শেষ ওভারে লঙ্কানদের সিরিজ বাঁচানোর স্বপ্নে পানি ঢেলে দেন ওয়াসিম (১৪ বলে ২৪)।
লঙ্কানদের হয়ে ফার্নান্দো দুটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও শিহান জয়সুরিয়া, থিসারা পেরেরা, মিলিন্ডা সিরিবর্ধনে ও মালিঙ্গা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় লঙ্কানরা। দলীয় ৯০ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গেলেও ২৫ বলে ৪৮ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন চামারা কাপুগেদেরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ৪০ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন ওয়ান ডাউনে নামা জয়সুরিয়া।
পাকিস্তানের হয়ে শোয়েব মালিক নেন দুই উইকেট। আনোয়ার, তানভীর, ইরফান ও আফ্রিদি একটি করে উইকেট লাভ করেন।
ম্যাচ সেরা হন আনোয়ার আলী। আর সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠে শোয়েব মালিকের হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৫
আরএম