ঢাকা: চলতি অ্যাশেজের এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়াকে লজ্জায় ফেলে সিরিজ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। অজিদের নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, এবার তাতে চটেছেন ক্রিকেটাররাও।
অনেক ক্রিকেট বোদ্ধা প্রশ্ন তোলেন, অস্ট্রেলিয়দের স্ত্রী আর বান্ধবীদের কারণে অ্যাশেজে এমন লজ্জাজনকভাবে হেরেছে সফরকারীরা। তাদের নিন্দার ঝড়ে হাওয়া দেন দেশটির কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার ইয়ান হিলি।
অজিদের সাবেক এ উইকেটরক্ষক অস্ট্রেলিয়ার পতনের জন্য তাদের স্ত্রী আর বান্ধবীদের দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, ক্রিকেটারদের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে আরও আগেই। প্রথম টেস্টে হেরে দ্বিতীয় টেস্টে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ঠিকই। কিন্তু স্ত্রী আর বান্ধবীদের নিয়ে ক্রিকেটাররা এতই ব্যস্ত যে তৃতীয় ম্যাচ হারের পরও তাদের মনঃসংযোগ ফিরে আসেনি।
তবে, এবারে সমালোচনা আর নিন্দার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন অজি ক্রিকেটাররা। তারা জানান, আমাদের সঙ্গে থাকা স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সময় কাটিয়ে সিরিজে হেরেছি, এটা একটি ভুল তথ্য। আমাদের ব্যাটিংয়ে সেরাটা দিতে না পারার মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদের। সঙ্গীদের সমালোচনা করায় অনেকে মনক্ষুন্ন হয়েছে। তারা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা কিংবা ভারত সফরে যেতে আগ্রহ হারিয়েছে।
সঙ্গীরা না থাকায় এ মুহূর্তে ভারত সফরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এ’ দলের দূরাবস্তার কথা টেনে আনেন অজি ক্রিকেটাররা। খাদ্যে বিষক্রিয়ার দরুণ ভারত সফরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকান দলটির ১০ ক্রিকেটার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের সেবা করার জন্য সঙ্গীরা পাশে থাকতে পারেননি।
ইয়ান হিলি বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান স্কোয়াডের দু’একজন ছাড়া আর কেউই শক্ত মানসিকতা নিয়ে খেলেনি। তাদের মনঃসংযোগে ঘাটতি ছিল। সঙ্গে স্ত্রী আর বান্ধবী রাখাতেই তাদের এই হাল হয়েছে।
তবে, বর্তমান স্কোয়াডে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার এ কথার বিরোধিতা করে বলেন, আমি এ ধরণের সমালোচনার বিরোধিতা করছি। আমরা এখানে একটি লম্বা সফরে এসেছি। এর আগে মাত্রই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ফিরেছি। সুতরাং, আপন জনদের সঙ্গে রাখা আমাদের প্রয়োজন ছিল। পরিবারকে পাশে না রাখলে আপনি অনেকভাবেই মনঃসংযোগ হারাতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট ২০১৫
এমআর