ঢাকা: বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের।
কিন্তু সালমাবাহিনীর সম্ভাব্য সেই সফরে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি। মিরপুরে বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাম্প শুরুর এক দিন পরই দলীয় অধিনায়ক সালমা খাতুন পাকিস্তান সফর নিয়ে ভীতির কথা জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। সালমাদের ভীতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্প্রতি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের উপর হামলার ঘটনা।
তবে নারী দলের কোচ চ্যাম্পিকা গামাগে পাকিস্তান সফর নিয়ে ভাবছেন পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে। বুধবার নারী দলের অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই লংকান। নারী দলের পাকিস্তান সফর প্রসঙ্গে গামাগে বলেন, ‘বোর্ড যদি এটার সুযোগ করে দেয় আমার কোনো সমস্যা নাই। যে কোনো সময় যে কোনো দলের বিপক্ষে গিয়ে খেলার জন্য আমার দলকে প্রস্তুত করছি। এটা আমার চাকরি। কোনো সফর নিয়েই আমার সমস্যা নেই। ’
এই মাসের শেষে বা পরের মাসের প্রথম দিকে শ্রীলঙ্কা সফর করার সুযোগ পেতে পারে নারী দল। অক্টোবরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজ। আর নভেম্বরে ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই শ্রীলংকা সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে সালমাদের কোচ বলেন, ‘কথা হচ্ছে এখনো। কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। আমরা ভেবেছি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে যদি আরেকটা সফর পাই তাহলে ভালো হবে। কোনোটাই নিশ্চিত হয়নি। এটাই বড় সমস্যা। দ.আফ্রিকা সিরিজের আগে আমরা শ্রীলঙ্কা বা অন্য কোনো দেশে গিয়ে খেলার কথা ভেবেছি। কারণ আমাদের মাথায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বিষয়টিও থাকছে। ’
বাংলাদেশ দলের মূল শক্তির জায়গা স্পিন। সালমা, রুমানা, কুবরাদের মতো ভালো মানের স্পিনার আছে বাংলাদেশ দলে। টাইগ্রেস কোচ গামাগে মনে করেন পেস অ্যাটাকেও পিছিয়ে নেই নারীরা। পেস অ্যাটাক নিয়ে গামাগে বলেন, ‘জাহানারা এবং পান্নার মতো মূল পেসার আছে আমাদের। এরপর আছে স্লো মিডিয়াম পেসার লতা মন্ডল। এছাড়া নতুন আসা দুই জন বোলার হলেন সুমনা ও ছন্দা। জাতীয় দলের পর্যায়ে আসতে তাদের আরো কিছু সময় দরকার। কিন্তু তারা খারাপ নয়। তাদের কম বয়স, আশা করছি তারা দলের পরবর্তী পেসার হতে পারবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
এসকে/এমএমএস