ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ব্যবসা করতে বিপিএলে এলে বিদায়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
ব্যবসা করতে বিপিএলে এলে বিদায় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্যবসার খাতিরে বা লাভের আশায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কোনো দলের মালিকানা বা ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে চায়, তবে তাদের ‘না’ করে দেবে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর প্রথম দুই আসরের বকেয়া পরিশোধ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান তৃতীয় আসরের ফ্র্যাঞ্জাইজি কিনতে পারবে না।



শনিবার (২২ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ কথা জানান।

তিনি জানান, গত ১৮ আগস্ট বিপিএলের তৃতীয় আসরের দলগুলোর মালিকানা কিনতে আগ্রহী ১১টি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ১১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরও একটি প্রতিষ্ঠান বাড়ছে। রংপুর রাইডার্সের আগের আসরের ফ্র্যাঞ্চাইজি আই স্পোর্টস তাদের বকেয়া পরিশোধ করায় এবার তারাও মালিকানা কিনতে পারবে।

পাপন বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে যাচাই-বাছাই করে ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ধারণ করা হবে। যদি আমাদের মনে হয়, কেউ ব্যবসার খাতিরে বা লাভের আশায় বিপিএলে অংশ নিতে চাইছে, তবে আমরা তাদের বিদায় জানিয়ে দেবো।

বিসিবি সভাপতি জানান, আগের আসরের পাঁচটি দলের (নিষিদ্ধ ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স বাদে) ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠান যদি ২৭ তারিখের মধ্যে তাদের বকেয়া পরিশোধ করে, তবে তাদেরও আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগ করা হবে। সেক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বিপিএলে দলও বাড়তে পারে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দর্শকদের আগ্রহকে মাথায় রেখে ২০১২ সালে প্রথমবার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ আয়োজন করে বিসিবি। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হয় এর দ্বিতীয় আসর। প্রথম দু’টি আসরে ক্রিকেট উন্মাদনা তৈরির পাশাপাশি অর্থ আয়েরও উদ্দেশ্য ছিল বিসিবির। তবে, এবার তৃতীয় সংস্করণে এসে অর্থ আয়ের বিষয়টি গৌন রাখছে বোর্ড।

পাপন বলেন, ৩০ তারিখ আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেবো। তাদের এক কোটি টাকা পে-অর্ডার করতে হবে। আর সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে।

বিসিবি সূত্রমতে, প্রথম ও দ্বিতীয় আসরে সিলেট রয়্যালসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ওয়ালটন গ্রুপ সাড়ে আট কোটি টাকা বকেয়া রেখেছিল। এখনও তারা বিসিবিকে পাওনা অর্থ বুঝিয়ে দেয়নি। এছাড়া, দ্বিতীয় আসরে বরিশাল বার্নার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি আলিফ গ্রুপ বাংলাদেশ সাড়ে ছয় কোটি টাকা, খুলনা রয়্যালসের ফ্র্যাঞ্চাইজি অরিয়ন গ্রুপ আট কোটি উনিশ লাখ, দুরন্ত রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিজিটাল অটো কেয়ার ৬ কোটি নয় লাখ আর চিটাগাং কিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজি এসকিউ স্পোর্টস সাত কোটি ৪৫ লাখ টাকা বকেয়া রাখে।

পাপন জানান, বকেয়া পরিশোধ করেই বিপিএলের তৃতীয় আসরে এসব প্রতিষ্ঠানকে অংশ নিতে হবে।

ক্রিকেটারদের দলভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এবার ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের নির্বাচন করতে হবে। প্রতি দলে চার জন করে বিদেশি ক্রিকেটার অংশ নিতে পারবে।

বিসিবির তত্ত্বাবধানে ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসর বসে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আসর। তবে, সে আসরে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ও দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের বকেয়া পাওনা ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানগুলো পরিশোধ না করায় ২০১৪ সালে এর আয়োজন করা হয়নি। এক বছর বিরতি দিয়ে আগামী নভেম্বরেই মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৫/আপডেট ১৮২৩ ঘণ্টা
এসকে/এমআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।