ঢাকা: অর্থের ঝনঝনানি থাকছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দলগুলোর খরচে সীমাবদ্ধতা রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আট কোটি টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে এক কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দিতে হবে বিসিবির কাছে। বাকি সাত কোটি টাকায় গড়তে হবে দল। খরচে ভারসাম্য রাখতে এবার থাকছে না খেলোয়াড়দের দর কষাকষির নিলাম
ক্রিকেটারদের কয়েকটা ক্যাটাগরি করে লটারির মাধ্যমে বন্টন করা হবে তাদের। দুই বছর আগে প্রিমিয়ার লিগে এ পদ্ধতিতে দলবদল হয়েছিল। ২০১২-১৩ মৌসুমে ১৮৯ ক্রিকেটারকে সাতটি ক্যাটাগরি করে লটারির মাধ্যমে ক্লাবগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য আলাদা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সে আসরে।
খরচের ভারসাম্যের পাশাপাশি দলগুলোর মধ্যে ভারসাম্য আনার দিকেও জোর দিচ্ছে বিসিবি। এ প্রসঙ্গে শনিবার দুপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের ব্যাপারে আমরা বলেছি একটা ক্যাটাগরি তৈরি করতে। এখন যে অবস্থা তাতে আমাদের প্লেয়ার বাই চয়েসেই যেতে হবে। দেশের ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরি করে ওভাবেই সিলেক্ট করতে হবে। নজর দিতে হবে একটা টিম খুব বেশি শক্তিশালী এবং আরেকটা যেন দুর্বল না হয়ে যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
এসকে/এমএমএস