ঢাকা: দু’জন একে অপরকে ‘দেশি’ বলে সম্বোধন করেন। কারণ, দু’জনই উঠে এসেছেন সাতক্ষীরা জেলা থেকে।
জাতীয় দলে খেলা, অনুশীলন ক্যাম্প, টিম হোটেল কিংবা অবসর-সবসময়ই এক সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেন দু’জন। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরুর দুই দিন বাদে হঠাৎ-ই আজ (সোমবার, ২৪ আগস্ট) একদিনের বিরতি। সময়টা পার করতেই আড্ডায় মশগুল দুই সতীর্থ-বন্ধু। মিরপুরের একাডেমিতে সোফায় বসে চললো আড্ডা।
সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ আর দশটা ছেলের মতোই মুস্তাফিজের জীবন। তার হাততালি এখনও আলোচনার বিষয়। উইকেট পেলে কখনো শূন্যে লাফিয়ে ওঠেন, কখনো শরীর ঝাঁকান। তার উদযাপন যেভাবেই হোক, শেষটা করেন মুখে হাসি নিয়ে আর হাততালি দিয়ে। মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। স্মার্টফোনে বিজ্ঞাপনের ক্লিপ দেখে হেসেই খুন মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকা মুস্তাফিজ! নিজেই জানালেন, ‘একদিনে বিজ্ঞাপনের শুটিং হয়েছে, সে হিসেবে মন্দ হয়নি। ’ সেই সঙ্গে জানান, ‘গলির ক্রিকেট’ থিম নিয়ে করা বিজ্ঞাপনের শুটিং নাকি বেশ উপভোগও করেছেন তিনি।
একই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন সৌম্য সরকারও। মুস্তাফিজের ক্লিপ দেখে সঙ্গে সঙ্গেই খোঁজ নিলেন তারটা কবে আসছে। জানা গেল, অন প্রসেসিং।
গত বিশ্বকাপের ছয়টি ম্যাচ খেলে সৌম্য সরকার শুনিয়েছিলেন আগমনী বার্তা। জানান দিয়েছিলেন, তিনি আসছেন ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়াতে। তার ব্যাট থেকে এখন আগুনের ফুলকি ছোটে। তার শটের নামকরণও হয়েছে ‘পেরিস্কোপ’।
সামনেই ঘরের মাঠে দুই টেস্টের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। এ নিয়ে কী ভাবছেন কাটার মাস্টার? মুস্তাফিজ জানালেন, ‘নিজের ফিটনেস আর বোলিং ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আপাতত ভাবছি না। কোচরা কিছু জিনিস শিখিয়ে দিয়েছেন ওটা নিয়ে কাজ করবো। শেখার তো শেষ নেই। ’
অল্প সময়ের মধ্যে দু’জনই এখন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার। সৌম্য মাঠ কাঁপাচ্ছেন ব্যাট হাতে আর মুস্তাফিজ বাঁহাতি পেসে থামিয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানের ইনিংস। এ দুইয়ের আগমনে ভারসাম্যপূর্ণ বাংলাদেশ দল। বদলে যাওয়া টাইগারদের প্রতীক যেন এই দুই তরুণ। বিশ্বের অনেক বড় বড় ক্রিকেট-বোদ্ধাও পঞ্চমুখ হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন এই তরুণ যোদ্ধাদের নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট ২০১৫
এসকে/এমআর