ঢাকা: বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হেরে ওডিআই সিরিজটি হাতছাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও কী সেটিরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে? ডারবানে বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেলের ম্যাচে হেরে গেলে পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রথম টানা দুটি ওয়ানডে সিরিজে হারের স্বাদ নেবে প্রোটিয়ারা।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-১ এ সমতা বিরাজ করছে। সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম ম্যাচে ২০ রানের জয়ে সিরিজে লিড নেয় ডি ভিলিয়ার্স-আমলারা। তবে সিরিজ বাঁচাতে পরের ম্যাচেই আট উইকেটের দাপুটে জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে কারা শেষ হাসি হাসবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এক সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো বলেন, ‘সিরিজ হারলে দ.আফ্রিকার মিডিয়া ও জনগণ কঠোর অবস্থানে যেতে পারে। সবাই আমাদের জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তাই যে করেই হোক, ওয়ানডে সিরিজটি অবশ্যই জিততে চাই। দলের সবাই এখন সেদিকেই দৃষ্টি রাখছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের যে পারফরম্যান্স ছিল তা বিবেচনায় রেখেই মাঠে নামব। ’
দলের ব্যাটিং নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রোটিয়া কোচ। ‘জেপি ডুমিনি ও ফাফ ডু প্লেসিস দলে না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ঘাটতি রয়েছে। টপ অর্ডারে হাশিম আমলার পাশাপাশি এদের মতো ব্যাটসম্যান থাকাটা আবশ্যক। দুজনকেই আমরা খুব মিস করছি। ’
উল্লেখ্য, গত মাসে বাংলাদেশ সফরে আসে দ.আফ্রিকা ক্রিকেট দল। শুরুতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় প্রোটিয়ারা। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল।
তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ঘুরে দাঁড়ায় মাফরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক-সৌম্য-মুস্তাফিজরা। সাত উইকেটের দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ। আর সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তো সফরকারীরা রীতিমত বিধ্বস্ত হয়। ওই ম্যাচটিতে ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যর অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২৬.১ ওভার শেষে ৯ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৫
আরএম