ঢাকা: বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ সিরিজে পাকিস্তান দলে ছিলেন সাঈদ আজমল। এরপর ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাকে দলের বাইরে রাখেন নির্বাচকরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে আজমলকে বিবেচনায় রাখেননি পাকিস্তানের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট। অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ইংলিশরা। এ সিরিজে তিনটি টেস্ট, চারটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী মাসেই পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। এ টুর্নামেন্টে নজর কাড়তে পারলে আজমলের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
আরব আমিরাতের মাটিতে বরাবরই উজ্জ্বল আজমল। তবে বোলিং অ্যাকশনে পরিবর্তন আনায় আগের সেই ধার এখন আর নেই। পাকিস্তানের একজন নির্বাচকের বরাত দিয়ে পিটিআই জানায়, ‘আজমলের বোলিং আগের মতো নেই। বল হাতে তার উইকেট শিকারের ধারাবাহিকতাও নেই। উইকেট পেলেও তার খরুচে বোলিং ফিগার খুবই উদ্বেগজনক। ’
এ মৌসুমে কাউন্টি ক্লাব হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলেন আজমল। যদিও তার পারফরম্যান্স অতটা উজ্জ্বল ছিল না। ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দিতে আগামী মাসের প্রথমেই তিনি ইংল্যান্ড থেকে পাকিস্তানে ফিরবেন।
আজমলের জাতীয় দলে ফেরার ওপর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন ইয়াসির শাহ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বল হাতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন ২৯ বছর বয়সী এ লেগস্পিনার। বর্তমানে তিনি আইসিসির টেস্ট বোলিং র্যাংকিংয়ে চার নম্বরে রয়েছেন।
তবে হাল ছাড়তে নারাজ আজমল। এক বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমার বিরুদ্ধে সমালোচনার জবাব দিতে চাই। একজন বোলার হিসেবে পাকিস্তানকে এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২১০৫
আরএম