ঢাকা: ক্রিকেট বিশ্বে বরাবরই কঠিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে বেশ ভুগিয়েছে দলটিকে।
বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। আর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটোতেই ড্র মানতে হয়। তবে দুটি টি-২০’র সবক’টিতে জেতে দলটি।
ক্রিকেট মরিসের জীবনকে দু’ভাবে পরিবর্তন করেছে। প্রথমতো, এই ক্রিকেট তাকে ধনী বানিয়েছে। দ্বিতীয়ত, তিনি বুঝেছেন অর্থই সবকিছু না।
২০১৩ সালে মরিস আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের নিলামে ৬ লক্ষ্য ২৫ হাজার মার্কিন ডলারে খেলার সুযোগ পান। এই অর্থে দিয়ে তিনি পিতা-মাতার জন্য ঘর বানিয়েছেন, বিয়ে করেছেন এবং সুখী জীবন গড়েছেন। যা তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও খেলার যোগ্য করে তোলে।
তবে বাংলাদেশ সফরের পর থেকেই প্রোটিয়া ক্রিকেট দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন মরিস। যেই সফরে কোন সফলতাই পাননি ২৮ বছরের এই ক্রিকেটার।
টাইগারদের বিপক্ষে পাঁচটি সীমিত ওভারের খেলার মধ্যে দু’টিতে সুযোগ পান মরিস। তবে এরপর ইনজুরিতেও ভোগেন তিনি। গ্রোইং ইনজুরির কবলে পড়েন তিনি। সে সময় তার দাদারও মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে তার ক্রিকেট ক্যরিয়ারে বড় ধরনের ধাক্কা আসে।
মরিস বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরটি আসলে কঠিন ছিল। সেই সফর শেষে আমি দেশে ফিরে আসি। তবে এরপর আমি আর দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাইনি। সুতরাং মানসিক ভাবেও আমি ভেঙে পড়ি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে আমি হাল ছাড়ছি না। দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আশাকরি নিজেকে আবারও প্রমাণ করতে পারবো। ’
এদিকে প্রোটিয়া দলে মরিসের জন্য এখন সুযোগ পাওয়টা বেশ কষ্টকর। কারণ দলে তারমতো তরুণ ফাস্ট বোলার মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গ ও ক্যাগিয়াসো রাবাদা এখন নিয়মিত। সেই সঙ্গে ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল ও ভারনন ফিলেন্ডাররা তো দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তারকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এমএমএস