ঢাকা: ৯৪ বলে সেঞ্চুরি, ইনিংস শেষে ৯৬ বল মোকাবেলায় অপরাজিত ১০২ রান, সঙ্গে ১২টি বাউণ্ডারি আর একটি ওভার বাউণ্ডারি। বল হাতে আবার জ্বলে উঠে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫ উইকেট।
প্রথম ওয়ানডেতে ৯৬ রানের পরাজয়ে ব্যাকফুটে থাকা মুমিনুল বাহিনী ঘুরে দাঁড়িয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয়। অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের একক কৃতিত্বে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ফলে, দ্বিতীয় ওয়ানডের পর সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো নাসির-সাব্বির-সৌম্য-লিটন-রুবেলরা।
ব্যাট হাতে নাসিরের অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথমে স্কোরবোর্ডে ২৫২ রান জমা করা টাইগাররা। সিরিজে জয় নিশ্চিত করতে নামা ভারত ১৮৭ রানেই গুটিয়ে যায়। তাদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেন নাসির। অনেকটা একাই ভারতের দলটিকে হারান টাইগার অলরাউন্ডার।
দলীয় ৮২ রানের মাথায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। নাসির ব্যাটিংয়ে নামেন সাত নম্বরে। ক্রিজে ছিলেন ১২৫ মিনিট। টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় যখন সিরিজ হারানোর ভয় টাইগার দলে, ঠিক সে সময়েই জ্বলে উঠে নাসিরের ব্যাট। লিটনকে (৪৫ রান) সঙ্গী করে ৭০ রানের জুটি গড়েন তিনি। প্রথম ম্যাচে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৫ রান আর নাসিরের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। তবে, দ্বিতীয় ম্যাচে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে নিজের জাত চেনান টাইগারদের অলরাউন্ডার নাসির।
২৫৩ রানের টার্গেটে ভারত ‘এ’ যখন দুই উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান তুলে ফেলে, তখন আবারো টাইগারদের সিরিজ হারানোর ভয় ঘিরে ধরে। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নাসির ফের দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
বোলিংয়ে এসে একে একে ফিরিয়ে দেন উন্মুখ চাঁদ, সুরেশ রায়না, করুন নায়ার, রিশি ধাওয়ান আর কালারিয়াকে। দলীয় ৩৪তম ওভারে আক্রমণে এসে একই ওভারে ফিরিয়ে দেন রায়না আর নায়ারকে।
১৮৭ রানে ভারতকে গুটিয়ে দিতে পাঁচ উইকেট নেওয়া নাসির ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৬ রান খরচ করেন। ‘নাসির শো’র দিনে বোলিংয়ে এসে ৯ ওভারে ৩৩ রান খরচায় রুবেল হোসেন তুলে নেন আরও ৪টি উইকেট। প্রতিপক্ষের টপঅর্ডার-মিডলঅর্ডার আর লেজ মুড়ে দিতে রুবেল-নাসির ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৪২.২ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের মঞ্চটা নিজেই তৈরি করে রেখেছিলেন নাসির। সিরিজ বাঁচাতে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত কিছু ডেলিভারিতে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলার হিসেবে অপরিহার্য হয়ে ওঠা এ টাইগার অলরাউন্ডারকে বলা হতো ‘মিস্টার ফিনিশার’। গত কয়েক মাস ধরেই বলা হচ্ছিল, সাকিবের পর আরও একজন দুর্দান্ত অলরাউন্ডার পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। কেনো বলা হচ্ছিল তা এ ম্যাচ থেকেই ‘মিস্টার ফিনিশার’ বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এমআর