ঢাকা: ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত ‘এ’ দলের ছুঁড়ে দেওয়া ২৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আবারো বিপর্যয়ে পড়েছে সফরকারীরা।
মুমিনুল-নাসিরদের বিদায়ে ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাব্বির রহমান।
৩২ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বৃষ্টি বাধা দেওয়ায় তাদের সামনে নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৯০ রান।
সফরকারীদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন সৌম্য সরকার ও রনি তালুকদার। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সৌম্য ধাওয়াল কুলকার্নির বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন। এরপর উইকেটে রনি তালুকদারের সঙ্গে জুটি বাঁধতে আসা এনামুল হক বিজয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে শ্রীনাথের বলে কুলদিপ যাদবের তালুবন্দি হন। সৌম্য আর বিজয়ের ব্যাট থেকে এক রান করে আসে। দলীয় ৩ ও ৪ রানের মাথায় বিদায় নেন তারা।
এরপর আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ব্যক্তিগত ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি হিথ স্ট্রিকের শিষ্যদের।
সেখান থেকে ৪৪ রানের জুটি গড়েন লিটন দাশ আর মুমিনুল। ব্যক্তিগত ২১ রান করে কুলদিপ যাদবের বলে স্যামসনের তালুবন্দি হন লিটন। ৩৭ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল হক। ৫০ বল মোকাবেলা করে তিনি তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে কুলদিপ যাদবের বলে ধাওয়াল কুলকার্নির তালুবন্দি হন।
মুমিনুলের বিদায়ে ব্যাট হাতে আসেন গত ম্যাচের নায়ক নাসির হোসেন। তবে, প্রথম ওয়ানডেতে ৫২ আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অপরাজিত ১০২ রান করা টাইগার এ অলরাউন্ডার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে করেন ২২ রান। ২৭ বল মোকাবেলা করে দুটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে কর্ন শর্মার বলে বোল্ড হন নাসির। দলীয় ৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে ১২৫ রানে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৯৬ রানে পরাজিত করে ভারত ‘এ’ দল। পরের ম্যাচে সিরিজে সমতায় ফিরতে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে যাওয়া সফরকারী টাইগাররা স্বাগতিকদের ৬৫ রানে হারায়। ফলে, তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি রূপ নেয় ফাইনালের।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৯৭ রান। দলের হয়ে শতক হাঁকান আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজেকে ফিরে পেতে লড়তে থাকা ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না। এছাড়া সঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে আসে ৯০ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই উইকেট হারায় ভারত ‘এ’। দলীয় ৫ রানের মাথায় ওপেনার আগরওয়ালকে ফিরিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। উইকেটের পেছনে লিটন দাশের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে এ ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। আরেক ওপেনার ও দলপতি উন্মুখ চাঁদ করেন ৪১ রান। দলীয় ২০তম ওভারে আর ৮৭ রানের মাথায় উন্মুখ আরাফাত সানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর জুটি গড়েন স্যামসন এবং রায়না। ১১৬ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে দুইশোর কোটা পার করান তারা। দলীয় ২০৩ রানের মাথায় আল আমিনের বলে বোল্ড হন স্যামসন। ৯৯ বলে ১০টি চার আর একটি ছক্কায় স্যামসন তার ৯০ রানের ইনিংসটি সাজান।
রায়না শেষ ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে শতক হাঁকান। তার ১০৪ রানের ইনিংসটি ছিল ৯৪ বল মোকাবেলায় ৯টি চার আর একটি ছক্কায় সাজানো। রুবেল হোসেনের করা দলীয় শেষ ওভারে উইকেটের পেছনে লিটনের তালুবন্দি হন রায়না।
বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৫৬ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাসির, আরাফাত সানি, রুবেল হোসেন এবং আল আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এমআর
** ফিরেছেন মুমিনুল, ক্রিজে নাসির-সাব্বির
** হাল ধরার চেষ্টায় মুমিনুল
** বাংলাদেশের নতুন টার্গেট ২৯০(৪৬ ওভার)
** ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে বাংলাদেশ ‘এ’
** সিরিজ জিততে বাংলাদেশের টার্গেট ২৯৮
** আল আমিন-নাসিরের আঘাত, ভারত ২২০/৪