ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সিরিজ ভারতের

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের হার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের হার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রথম ওয়ানডেতে হেরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৭৫ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক ভারত ‘এ’ দল।

ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে ভারত ‘এ’ দল।

তবে বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকায় ৪৬ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ২৯০ রান।

নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ৪ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি হানা দেওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২ ওভারে ৬ উইকেট ১৪১ রান। বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ আর মাঠে না গড়ালে ডি/এল মেথডে ৭৫ রানে জয় পায় ভারত। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় ভারতীয় ‘এ’ দল।

সফরকারীদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন সৌম্য সরকার ও রনি তালুকদার। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সৌম্য ধাওয়াল কুলকার্নির বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন। এরপর উইকেটে রনি তালুকদারের সঙ্গে জুটি বাঁধতে আসা এনামুল হক বিজয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে শ্রীনাথের বলে কুলদিপ যাদবের তালুবন্দি হন। সৌম্য আর বিজয়ের ব্যাট থেকে এক রান করে আসে। দলীয় ৩ ও ৪ রানের মাথায় বিদায় নেন তারা।

এরপর আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ব্যক্তিগত ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি হিথ স্ট্রিকের শিষ্যদের।

সেখান থেকে ৪৪ রানের জুটি গড়েন লিটন দাশ আর মুমিনুল। ব্যক্তিগত ২১ রান করে কুলদিপ যাদবের বলে স্যামসনের তালুবন্দি হন লিটন। ৩৭ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল হক। ৫০ বল মোকাবেলা করে তিনি তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে কুলদিপ যাদবের বলে ধাওয়াল কুলকার্নির তালুবন্দি হন।

মুমিনুলের বিদায়ে ব্যাট হাতে আসেন গত ম্যাচের নায়ক নাসির হোসেন। তবে, প্রথম ওয়ানডেতে ৫২ আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অপরাজিত ১০২ রান করা টাইগার এ অলরাউন্ডার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে করেন ২২ রান। ২৭ বল মোকাবেলা করে দুটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে কর্ন শর্মার বলে বোল্ড হন নাসির। দলীয় ৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে ১২৫ রানে।

৫২ বলে চারটি চার আর একটি ছয়ে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির রহমান।

এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৯৬ রানে পরাজিত করে ভারত ‘এ’ দল। পরের ম্যাচে সিরিজে সমতায় ফিরতে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে যাওয়া সফরকারী টাইগাররা স্বাগতিকদের ৬৫ রানে হারায়।

ফাইনালে রূপ নেওয়া তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৯৭ রান। দলের হয়ে শতক হাঁকান আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজেকে ফিরে পেতে লড়তে থাকা ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না। এছাড়া সঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে আসে ৯০ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই উইকেট হারায় ভারত ‘এ’। দলীয় ৫ রানের মাথায় ওপেনার আগরওয়ালকে ফিরিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। উইকেটের পেছনে লিটন দাশের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে এ ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। আরেক ওপেনার ও দলপতি উন্মুখ চাঁদ করেন ৪১ রান। দলীয় ২০তম ওভারে আর ৮৭ রানের মাথায় উন্মুখ আরাফাত সানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর জুটি গড়েন স্যামসন এবং রায়না। ১১৬ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে দুইশোর কোটা পার করান তারা। দলীয় ২০৩ রানের মাথায় আল আমিনের বলে বোল্ড হন স্যামসন। ৯৯ বলে ১০টি চার আর একটি ছক্কায় স্যামসন তার ৯০ রানের ইনিংসটি সাজান।

রায়না শেষ ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে শতক হাঁকান। তার ১০৪ রানের ইনিংসটি ছিল ৯৪ বল মোকাবেলায় ৯টি চার আর একটি ছক্কায় সাজানো। রুবেল হোসেনের করা দলীয় শেষ ওভারে উইকেটের পেছনে লিটনের তালুবন্দি হন রায়না।

বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৫৬ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাসির, আরাফাত সানি, রুবেল হোসেন এবং আল আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এসএইচ/এমআর

** বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ, বাংলাদেশ ১৪১/৬
** ফিরেছেন মুমিনুল, ক্রিজে নাসির-সাব্বির
** হাল ধরার চেষ্টায় মুমিনুল
** বাংলাদেশের নতুন টার্গেট ২৯০(৪৬ ওভার)
** ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে বাংলাদেশ ‘এ’
** সিরিজ জিততে বাংলাদেশের টার্গেট ২৯৮
** ‍আল আমিন-নাসিরের আঘাত, ভারত ২২০/৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।