ঢাকা: রঞ্জিট্রফি, ইরানি ট্রফি আর বিজয় হারারে ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটকের বিপক্ষে তিনদিনের ম্যাচে মহীশুরে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দারুণ ব্যাট করেছে সফরকারী বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৬ ওভার ব্যাট করে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে থাকা টাইগাররা অলআউট হওয়ার আগে ৩০৯ রান সংগ্রহ করে।
জিততে হলে কর্ণাটককে শেষ দিনে ১৮১ রান তুলতে হবে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১৫৮ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা তোলে ২৮৭ রান। ফলে, ১২৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামে নাসির-সৌম্য-এনামুল-লিটনরা।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের মারমুখি ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৯ রানের লিড নেয় মুমিনুল বাহিনী।
ভারতের দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করে আউট হন এনামুল বিজয়। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি খেলতে তিনি মাত্র ৮৭টি বল মোকাবেলা করেন।
অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। আরেক ওপেনার রনি তালুকদার করেন ১৫ রান।
হাতে সাত উইকেট নিয়ে তৃতীয় ও শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। শেষ দিনে অপরাজিত থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন দাশ ও সৌম্য সরকার। লিটন ৮১ বলে ৩৮ ও সৌম্য ৬২ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন।
নাসির হোসেন আবারো দলের হাল ধরে খেলেন ৪৪ রানে ইনিংস। ৬১ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার আর একটি ছক্কায় নাসির তার ইনিংসটি সাজান। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করা শুভাগত হোম দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন। ৭৪ বলে ৭টি চার আর একটি ছয়ে তিনি হার না মানা ৫০ রান করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি সাকলাইন সজীব, কামরুল রাব্বি, জুবায়ের হোসেন আর আল আমিন হোসেন।
ভারতের হয়ে ৬টি উইকেট তুলে নেন সুচিথ।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে সাকলাইন সজীব ও শুভাগমত হোম চারটি করে উইকেট নেন। আল আমিন হোসেন ও জুবায়ের হোসেন পান একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এমআর