ঢাকা: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। লক্ষ্য পূরণ করেছে স্বাগতিকরা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এ ম্যাচে জয়ের ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ পর ১-১ এ সমতায় ফিরল জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের করা ২৭৬ রানের পর পাকিস্তান ৪৮ ওভারে ২৫৬ রান তোলে। চরম নাটকীয়তা দেখার আশা পূরণ হয়নি ক্রিকেট বিশ্বের। পাকিস্তানের ইনিংসের ৪৮তম ওভার শেষ হতেই আলোকস্বল্পতা দেখা দেয়। স্টেডিয়াম ঘিরে আকাশে এতটাই মেঘ জমে যা আসলে পাকিস্তান দলেই ছুঁয়ে গেছে। কালো হয়ে আসা আকাশও সাদা হয়নি, আর স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট না থাকায় ম্যাচও গড়ায়নি। ফলে, ডিএল মেথডে ৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় পাকিস্তানকে।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলি। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেন ওপেনার চামু চিভাভা। স্বাগতিক এ ওপেনার ১২৫ বলে ৮টি চারে করেন ৯০ রান।
দলীয় ২৭ রানের মাথায় আরেক ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ব্যক্তিগত ৭ রান করে ফিরে যান। তবে, দ্বিতীয় উিইকেট জুটিতে চিভাভা ব্রায়ান চারিকে সঙ্গে নিয়ে ৯১ রানের জুটি গড়েন। চারি ৬৪ বল মোকাবেলা করে ৩৯ রান করেন। উইলিয়ামস ১০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। এছাড়া জিম্বাবুয়ের দলপতি এলটন চিগুম্বুরা খেলেন ৬৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস। তার ইনিংসটি মাত্র ৫৫ বলে ৪টি চার আর দুটি ছক্কায় সাজানো ছিল। ওয়াহাব রিয়াজের বলে হিট উইকেট হয়ে বিদায় নেন তিনি।
শেষ দিকে দলকে বড় সংগ্রহ পাইয়ে দিতে ব্যাট হাতে সিকান্দার রাজা ২১ বলে ৩২ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬৩ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন ওয়াহাব রিয়াজ।
২৭৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫৬ রানেই থেমে যেতে হয় সফরকারী পাকিস্তানকে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা আজহার আলির দলটি দলীয় ৭৬ রানে টপঅর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যানকে হারায়।
তবে, সেখান থেকে ১১১ রানের দারুণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিতে থাকেন সোয়েব মালিক আর আমের ইয়ামিন। আট নম্বরে নামা আমের ৬৮ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৬২ রানের একটি ইনিংস খেলেন।
পাকিস্তানের দলপতি ও ওপেনার আজহার এক রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার বিলাল আসিফ কোনো রান করার আগেই সাজঘরে ফেরেন। ফলে, অভিষেক ম্যাচটি একদিকে আসিফের মোটেই ভালো গেল না। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ হাফিজ করেন ২৭ রান। আসাদ শফিক(১), সরফরাজ আহমেদ (৯), মোহাম্মদ রিজওয়ান (৮) আর ওয়াজাব রিয়াজ (৩) দ্রুত ফিরে যান।
সোয়েব মালিক শেষ পর্যন্ত হয়তো দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন। অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। তবে, দলকে জেতাতে পারেননি আলোকস্বল্পতার কারণে। ১০৬ বলে ৮টি চার আর একটি ছয়ে ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সোয়েব মালিক। শেষ দিকে সোয়েবকে দারুণ সঙ্গ দেন ইয়াসির শাহ। ২২ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দু’জন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৬৩ রানের জুটি।
৪৮ ওভার শেষে পাকিস্তানকে থেমে যেতে হয়। ৮ উইকেট হারিয়ে তারা ২৫৬ রান তোলে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন তিনাশে পানিয়াঙ্গারা। ম্যাচ সেরা হন এলটন চিগুম্বুরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, ০৩ অক্টোবর ২০১৫
এমআর