ঢাকা: বিলাল আসিফের অসাধারণ অলরাউন্ড পারফর্মে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিল পাকিস্তান। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের করা ১৬১ রানের জবাবে সাত উইকেট হাতে রেখে জয় পায় আজহার আলীর বাহিনী।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাব অলরাউন্ডার বিলালের অভিষেক হয়েছিল। তবে অভিষেকটা সুখকর করতে পারেননি ৩০ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। সে ম্যাচে আট ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য থাকার পর রানের খাতাতেও ছিলেন শূন্য। দেখতে হয়েছিল দলের হার।
কিন্তু ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই এভাবে জ্বলে উঠবেন তা হয়তো নিজেও বুঝে ওঠেননি বিলাল। জিম্বাবুয়ের স্বল্প রানের বিপরীতে ওপেনিংয়ে নেমে ৪৪ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। খেলার শেষদিকে অবশ্য শোয়েব মালিক (৩৪) ও আসাদ শফিকের (৩৮) অপরাজিত ব্যাটিংয়ের সুবাদে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে অবশ্য শুরুটা দুর্দান্তই করেছিল। ওপেনিং জুটিতে চামু চিবাবা ও রিচমন্ড মুতুমবামি ৮৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু এরপরই শুরু হয় বিলাল তাণ্ডব। একে একে তুলে নেন স্বাগতিকদের পাঁচটি উইকেট। যার মধ্যে অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরাসহ দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে সরাসরি বোল্ড করেন অফস্পিনার বিলাল।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন মুতুমবামি।
সফরকারী বোলারদের মধ্যে অন্য স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম নেন আরো তিনটি উইকেট। ১০ ওভারে মাত্র ২৫ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট পাওয়া বিলাল ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। আর পুরো সিরিজে অসাধারণ খেলা সোয়েব মালিক সিরিজ সেরা হন।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আলোকস্বল্পতার ভাগ্যে আর ডিএল মেথডে জিম্বাবুয়ে জয় পেলে শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর, ২০১৫
এমএমএস