ঢাকা: প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানের লিড পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে হেরেই গেল তামিম-মুমিনুলদের চট্টগ্রাম বিভাগ। রাজশাহী বিভাগের চতুর্থ দিন জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫৯ রান।
হাতে সবক’টি উইকেট নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী।
১৭তম জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আর রাজশাহী মুখোমুখি হয়েছিল।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল, নাফিস ইকবাল, মুমিনুল হকদের চট্টগ্রাম ৩৮৩ রানে অলআউট হয়। রাজশাহী নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে অলআউট হলে ৭৫ রানের লিড পায় তামিমরা। তবে, লিড নিয়েও দ্বিতীয় ইনিংসকে লম্বা করতে পারেনি চট্টগ্রাম। মাত্র ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ফলে, রাজশাহীর সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫৭ রান। শেষ দিনের ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় তারা।
প্রথম ইনিংসে তামিম কোনো রান নেওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেও ব্যর্থ টাইগারদের এ ওপেনার। ব্যক্তিগত ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। চট্টগ্রাম দলপতি নাফিস ইকবাল প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৬ রান, দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ তিনি। মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন নাফিস ইকবাল।
তিন নম্বরে নামা মুমিনুল প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৬ রান। প্রথম ইনিংসে ৯১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইয়াসির আলি। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি খেলেন ৬১ রানের ঝকঝকে আরেকটি ইনিংস। গত ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান (১০২ রান) চট্টগ্রামের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে আসে ৫৫ রান।
আগের ইনিংসে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ফিরতি ইনিংসে করেন ১৭ রান।
চট্টগ্রামকে ১৮১ রানে গুটিয়ে দিতে রাজশাহীর সানজামুল আর তাইজুল নেন তিনটি করে উইকেট।
২৫৭ রানের জয়ের টার্গেটে নেমে তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহী বিনা উইকেটে তুলে ফেলে ৯৮ রান। চতুর্থ দিন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৯২ আর জুনায়েদ সিদ্দীকি ১০২ রান করেন।
প্রথম ইনিংসে ৬১ রান করা শান্ত তার দ্বিতীয় ইনিংস সাজাতে মোকাবেলা করেন ১২৫ বল। তার ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কা। দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান জুনায়েদ সিদ্দীকি গত ইনিংসে করেছিলেন ৮১ রান। ফিরতি ইনিংসটি সাজাতে তিনি মোকাবেলা করেন ১২৯ বল। বাঁহাতি এ ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে ১২টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান।
ফরহাদ হোসেন ১২ আর সাব্বির রহমান ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে আর দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
চট্টগ্রামের হয়ে একমাত্র উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর ছাড়া দলের বাকি দশ জন বোলিং করেন। তবে, নয়জন কোনো উইকেটের দেখা না পেলে তিনটি উইকেটই জুবায়ের হোসেনের দখলে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ০৬ অক্টোবর ২০১৫
এমআর