ঢাকা: সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৫৮ রানে হারিয়ে দেশের মাটিতে টানা পঞ্চম সিরিজ জয় করেছে মাশরাফিবাহিনী। এ বছর পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে হারানোর পর জিম্বাবুয়ে সিরিজটাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের জন্য।
টাইগারদের চ্যালেঞ্জটা ছিল নিজেদের সঙ্গেই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত হওয়ার আগ অবধি লাল বলে অনুশীলন, সাকিবকে পাওয়া যাবে কিনা সে অনিশ্চয়তা, আর মাশরাফির অসুস্থতা সব মিলিয়ে স্বস্তিতে ছিল না টাইগাররা। শেষ অবধি এ বছরের সাফল্যের ধারা অব্যহত রেখেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে সহজেই ২-০ তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় অনেকের কাছে ‘এ আর এমন কি’ মনে হতে পারে। তবে চ্যালেঞ্জ যে কতটা ছিল সেটি মাশরাফিই জানালেন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে, ‘এ সিরিজ জয় অবশ্যই স্বস্তির। সিরিজের আগে অনেকগুলো ইস্যু ছিল। যেমন: টেস্ট খেলবো বলে আমরা সবাই লাল বলে ক্রিকেট খেলছিলাম। জিম্বাবুয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে হেরে এলেও ওরা সাদা বলে খেলার ভেতরে ছিল। সাকিবের একটা ইস্যু ছিল প্রথম থেকেই। মাঝখানে আমারও অসুখ হয়ে গেল। বিভিন্ন দিক থেকে একটা চাপ ছিল। তারপরও সিরিজটা জিততে পেরেছি। ’
জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও এ জয়কে কোনোভাবে ছোট করে দেখতে চান না মাশরাফি, ‘অনেকই বলছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যে কেউ নামলেই...আমি মনে করি এ রকম কোনো কিছু না। একটা সময় ছিল যখন আমরা অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলতে যেতাম। ওরা কিন্তু আমাদের যেভাবেই পারতো সেভাবেই হারাতে চাইতো। আমাদের আত্মবিশ্বাসটা ভালো আছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছিলাম এ জন্য হয়তো মনে হয়েছে ‘পারবো’। দিন শেষে ৬০০টা বল টার্গেট করেই মাঠে নামতে হয়। ভালো খেলেই জিততে হয়। প্রতিপক্ষ কে, এটা বিষয় নয়। জয়টাই বড় বিষয়। ১০০ ম্যাচ জেতার পরও দেশের জার্সি গায়ে কেউ হারতে চাইবে না। ’
টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ে পুরো দলই আনন্দিত বলে জানান মাশরাফি। এবার সামনের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে ভাবছেন তিনি, ‘এ জয় অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। তবে সামনে আমাদের আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, ০৯ নভেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর