মিরপুর থেকে: এক ম্যাচ আগেই বিপিএলের শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে তামিম ইকবালের দল চিটাগং ভাইকিংস। আসরে ৯ ম্যাচে জয় মাত্র দুটিতে।
ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে নিজেদের নবম ম্যাচে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে কোনো অজুহাত দেখাননি তামিম। ভাগ্যকে দুষেও হতাশা বাড়াননি। বরং কিছু ভুল ও স্থানীয় ক্রিকেটাররা সেরাটা না দিতে পারায় পয়েন্ট টেবিলের তলানীতেই থাকতে হয়েছে তাদের-মনে করেন তামিম।
তামিম জানান, ‘প্রতিটি টুর্নামেন্টে এমন একটা টিম থাকে যাদের কোনোকিছুই ঠিকঠাক হয়না, প্রথম বল থেকে টুর্নামেন্টের শেষ বল পর্যন্ত। তবে, সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করেছে। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। আমরা কিছু ভুলও করেছি। যদি ওই ভুলগুলো না করতাম হয়তো অন্য অবস্থানে থাকতাম। কোনো অজুহাত নেই। আশা করি, পরেরবার চিটাগংয়ের দলের হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবো। ’
‘যেভাবে ফলাফল আশা করেছি সেরকম দল আমরা না। তবে, কাগজে-কলমে আমরা শক্তিশালীই ছিলাম। আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভালো করার চেষ্টা করেছে। তারপরও আশানুরুপ হয়নি। সেরা পারমফরম্যান্স না হলে জেতা কঠিন হয়ে যায়’ যোগ করেন তামিম।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে চিটাগং অধিনায়ক বলেন, ‘গেইল-পোলার্ড-রাসেল এদের যদি এক টিমে রাখা হয় আর স্থানীয় ক্রিকেটাররা যদি পারফর্ম না করে সেক্ষেত্রে ভালো করার সুযোগ কম। স্থানীয় ক্রিকেটারদের সাপোর্ট সবসময়ই লাগবে। বরিশাল দলে দেখেন ভয়ঙ্কর দুই ওপেনার ক্রিগ গেইল ও এভিন লুইস থাকার পরও ৫৮ রানে অলআউট হয়ে গেল। স্থানীয় খেলোয়াড়দের অবশ্যই পারফর্ম করতে হবে। ’
স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছুটা হতাশা থাকলেও আসিফ আহমেদ রাতুল ও শফিউল ইসলামের বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তামিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর
** বাদ পড়লো চিটাগং ভাইকিংস