ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে গ্লাডিয়েটর্স

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে গ্লাডিয়েটর্স ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে চলমান পাকিস্তান সুপার লিগের প্রথম কোয়ালিফাইং ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। মাত্র এক রানের ব্যবধানে কোয়েটা হারিয়েছে টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিমহীন পেশোয়ার জালমিকে।

ফলে, শহীদ আফ্রিদির দলকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিটি নিশ্চিত করলো কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স।

পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মধ্যকার এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে হেরেছিল টাইগাররা। শেষ ওভারের বোলিং দায়িত্বে ছিলেন পাকিস্তানের আইজাজ চিমা। এশিয়া কাপের সেই ফাইনালকেই যেন তিনি আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন পাকিস্তান সুপার লিগের এই ম্যাচে।

আগে ব্যাট করে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স ১৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৩৩ রান তোলে। জবাবে, পেশোয়ার জালমি তামিমকে ছাড়া নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলতে সক্ষম হয়।

কোয়েটার হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেন কেভিন পিটারসেন। ৩৮ বলে ৫টি চার আর দুটি ছক্কায় তিনি করেন ৫৩ রান। লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। ২৯ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে সাঙ্গা তার ইনিংসটি সাজান।

এছাড়া, আহমেদ শেহজাদ ৬, মোহাম্মদ নেওয়াজ ২০, গ্রান্ট ইলিয়ট ৫ রান করেন।

পেশোয়ারের হয়ে ওয়াহাব রিয়াজ তিনটি, শন টেইট দুটি উইকেট তুলে নেন। আফ্রিদি, হাসান আলি, মোহাম্মদ আসঘার ও ড্যারে স্যামি একটি করে উইকেট পান।

১৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামেন পেশোয়ারের ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ ও কামরান আকমল। হাফিজ ১৫ আর কামরান ৯ রান করে বিদায় নেন। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামা শহীদ উইসুফ ১৫ রান করে আউট হন।

ব্রাড হজের ব্যাট থেকে এ ম্যাচে কোনো রানই আসেনি। বেয়ারস্টো করেন ১৫ রান। ড্যারেন স্যামি ২৯ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কায় নেন ৩৮ রান। আফ্রিদি ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেষ দিকে ওয়াহাব রিয়াজ ১৬ বলে ২২ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান।

শেষ ওভারে পেশোয়ারের দরকার ছিল ৮ রান। আইজাজ চিমার করা ওভারের প্রথম বলে রিয়াজ রান না পেলেও দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে হাসান আলিকে স্ট্রাইক দেন। চতুর্থ বলে হাসান আলিকে (৫) নিজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান। পঞ্চম বলে ওয়াহাব রিয়াজকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। শেষ বলে পেশোয়ারের দরকার ছিল ৩ রান। আর চিমার হ্যাটট্রিক করার জন্য দরকার ছিল বাকি উইকেটটি। স্ট্রাইকে থাকা মোহাম্মদ আসঘার শেষ বলে একটি রান তুলতে সক্ষম হন।

কোয়েটার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও গ্রান্ট ইলিয়ট। আর দুটি উইকেট নেন আইজাজ চিমা। একটি উইকেট পান আনোয়ার আলি।

এ জয়ের ফলে কোয়েটা ফাইনালের মঞ্চে টিকিট করে নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৭ ঘণ্টা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।