ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ তদন্ত করা দরকার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৬
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ তদন্ত করা দরকার ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভারতের বিপক্ষে মাত্র এক রানে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখানো টাইগাররা নাটকীয়ভাবে শেষ বলে হেরে বসে।

আর এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচটিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার তৌসিফ আহমেদ।

আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিটকে এই ম্যাচটিকে খতিয়ে দেখতেও অনুরোধ জানিয়েছেন ৫৭ বছর বয়সী সাবেক এই পাকিস্তানি স্পিনার।

দুই দলের জন্য ‘মাস্ট উইন’ তকমা পাওয়া সে ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্বাগতিক ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। ১৪৭ রানের টার্গেটে নেমে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তোলে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য টাইগারদের দরকার ছিল মাত্র ১১ রান। হারদিক পান্ডের করা সেই ওভারে মুশফিকুর রহিম পর পর দুই বলে চার হাঁকিয়ে শেষ ৩ বলে দুই রানের ব্যবধান এনে দেন।

ওভারের চতুর্থ বলে ডিপ-মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। শিখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সে সময় স্ট্রাইকে ছিলেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শিখর ধাওয়ানকে সরিতে একই অঞ্চলে ভারতের দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি দলের সেরা ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে আসেন। পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে রিয়াদও সেখানে ক্যাচ তুলে দেন। শেষ বলে প্রয়োজন দুই রান। তাতেও সফল হয় ভারত। মুস্তাফিজকে রান আউট করে জয়ের উল্লাসে মাতে টিম ইন্ডিয়া।

আর হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে বসে টাইগাররা। এ ম্যাচটি নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে ৩৪ টেস্ট আর ৭০ ওয়ানডে খেলা তৌসিফ জানান, ‘ম্যাচটি যেভাবে শেষ হয়েছে তা আমার দৃষ্টিতে স্বাভাবিক ভাবে হয়নি। আমি মনে করি ম্যাচটি নিয়ে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিটকে কাজ করা দরকার। ’

শেষ তিন বলে তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর সেই তিন বলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে হয় এশিয়া কাপের ফাইনালিস্টদের। অথচ সে সময় উইকেটে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো সেট ব্যাটসম্যান ছিলেন। এ প্রসঙ্গে এই স্পিনার জানান, বাংলাদেশ এখন আর অনভিজ্ঞ দল নয়। তাদের অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে ছিলেন। আমি বুঝতেই পারছি না তারা প্রথমে ম্যাচটি ড্র না করে কিভাবে বড় শট খেলার ঝুঁকি নিতে গেল!

পাকিস্তান ‘এ’ দলের মূল এই কোচ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচিং স্টাফে ছিলেন। তিনি আরও যোগ করেন, আমার অভিজ্ঞতা বলছে ম্যাচে এমন কিছু ঘটেছে যেটা সঠিকভাবে হয়নি। এটা নিয়ে কি বলবো বুঝতে পারছিনা। তবে ভালো হয় যদি আইসিসি পুরো ম্যাচটি তদন্ত করে। কারণ সবাই জানে ক্রিকেটে আজকাল কী ঘটছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।