ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিজ পারফরমেন্স উপভোগ করছেন বিজয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৬
নিজ পারফরমেন্স উপভোগ করছেন বিজয় ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

মিরপুর থেকে: ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের এবারের আসেরে বলতে গেলে ধারাবাহিকভাবেই ভাল খেলছেন এনামুল হক বিজয়। প্রথম ম্যাচে ৬৭ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন ৪২ রানের ইনিংস।

এরপর তৃতীয় ম্যাচেতো সেঞ্চুরিই করে বসলেন। এমন পারফরমেন্সে বেশ আপ্লুত টাইগার এই ওপেনার।

 

সোমবার (০২ মে) ম্যাচশেষে মিরপুরে নিজের সেঞ্চুরির অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সেঞ্চুরি সব ব্যাটসম্যানের জন্যই স্বপ্ন। আর সেঞ্চুরির কারণে যখন দল জেতে, তখন অবশ্যই ভালো লাগে। সেঞ্চুরি হচ্ছে, ফিফটি হচ্ছে, ব্যাটে বল আসেছে, প্র্যাকটিস অনুযায়ী ফল পাচ্ছি এগুলো অবশ্যই ভালো লাগার মতো বিষয়। ’

২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক আসরে এই ফরমেটে আর কোনো শতকের দেখা পাননি এনামুল হক বিজয়। শেষ ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমেছেন গেল বছর বিশ্বকাপে। কিন্তু বিশ্বকাপে গিয়ে ইনজুরিতে পড়লে ব্যাট হাতে ওয়ানডে ম্যাচে আর বাংলাদেশের হয়ে মাঠেই নামা হয়নি এই টাইগার ব্যাটসম্যানের।

তবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে বিজয় মাঠে না নামলেও গেল বছর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ঠিকই মাঠে নেমেছিলেন এবং তুলে নিয়েছিলেন দুটি সেঞ্চুরিও। গেলবারের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের এবারের আসরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের বিপক্ষে তুলে নিলেন এবারের প্রিমিয়ার ক্রিকেটে নিজের প্রথম এবং লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে নিজের সপ্তম শতক। মূলত এদিন তার অনবদ্য ৮৫ বলে ১০০ রানের ইনিংসে সিসিএস’র বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় পায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

এদিন নিজের সেঞ্চুরির কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, ‘২০১৪ সালের পর সেঞ্চুরি করলাম। ২০১৫’র পর তো ওয়ানডেতে সুযোগই পাইনি। তাই আজ সেঞ্চুরি করে ভালো লেগেছে। যখনই দেখলাম স্কোরটা এমন তখনই মাথায়ই ছিল যতটুকু পারি লম্বা ব্যাটিং করার। আর সেটা বুঝেই সুযোগটা নিলাম। উইকেট ভাল ছিল তাই যখন রান হচ্ছিল তখন সেট হওয়ার পরে দেখলাম সেঞ্চুরি করাও সম্ভব। ’

শুধু বিজয়ই নন, গাজী গ্রুপের হয়ে জয় নিশ্চিত করতে এদিন ফরহাদ হোসেনের ৪৫ রানের ইনিংসটিও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো সতীর্থ  ফরহাদকেও প্রশংসায় ভাষলেন বিজয়, ‘ফরহাদ ভাইয়ের ইনিংসটাও অসাধারণ। মিডল অর্ডার থেকে আজ তিনি টপঅর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। ’
 
ক্রিকেট কোচিং স্কুলের দেয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য টপকাতে তৃতীয় উইকেটে এনামুল বিজয় ও ফরহাদের ১৩৯ রানের জুটি ছিল দেখার মতো। শুধু তাই নয়, বিজয়ের শতকের পথে ফরহাদের ধীর গতির ব্যাটিং যথেষ্টই কাজে এসেছে বলেও জানালেন বিজয়, ‘উনি আমার দারুণ একটি উপকার করেছেন। যখন ওনার ৩২ ও আমার ৬০ তখন বললাম যে ভাই এটা কিন্তু সম্ভব। তখন ফরহাদ ভাই বলেছেন, হ্যাঁ আমার ২০ রান আর তোমার ৪০ রান দরকার, এটা হয়ে যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ০২ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।